ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: জামাইবাবুর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় খুন হতে হল শ্যালককে। মৃতের নাম সাগর মিঞা (২৪)। সোমবার রাত ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর হাসপাতালের সামনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যাপারীপাড়ার বাসিন্দা জসিমউদ্দিনের সঙ্গে পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল মনি আক্তার পপির। বর্তমানে দেড় বছর বয়সী একটি সন্তানও রয়েছে তাঁদের। জসিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি হাসপাতালে চাকরি করেন। সেই সুবাদে অন্য হাসপাতালের এক মহিলা কর্মচারীর সঙ্গে তাঁর পরকীয়া সম্পর্ক তৈরি হয়। দু’বছর আগে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর জসিমের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন পপি। এরপরই ওই মেয়ের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন জসিমউদ্দিন। উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে পুলিশ সুপারের অফিসে বিষয়টির মীমাংসাও করা হয়।
কিন্তু, মীমাংসার পরেও জসিমউদ্দিন গোপনে ওই মহিলাটির সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিলেন। সোমবার রাতে তাঁকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কোর্ট রোডের একটি দোকানের সামনে ঘোরাঘুরি করছিলেন। এই কথা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের হাতেনাতে ধরেন জসিমের স্ত্রী পপি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য উভয়পক্ষের আত্মীয়স্বজনকে ঘটনাস্থলেও ডাকা হয়।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই এলাকা থেকে পালিয়ে যান জসিম। এরপরই পপির আত্মীয়দের উপর অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় তাঁর পরিবারের সদস্যরা। বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে। উভয়পক্ষের মারামারির জেরে ছুরিবিদ্ধ হন পপির দাদা সাগর। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু, কিছুটা দূর যেতেই মৃত্যু হয় সাগরের।
এপ্রসঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর মহম্মদ নুরুজ্জামান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরেই ছ’জনকে আটক করা হয়েছে। এখনও তদন্ত চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.