ছবি: প্রতীকী।
সুকুমার সরকার, ঢাকা: কোনও অন্যায়ের বিচারে দোষীকে সাজা দিয়ে সংশোধনাগারে পাঠানো হয় চরিত্র সংশোধনের জন্য। ভবিষ্যতে হিংসাত্মক কাজের পথে সে যাতে আর পা না বাড়ায়, সেটাই লক্ষ্য বিচারব্যবস্থার। কিন্তু বাংলাদেশের (Bangladesh)বরিশালের যুবক ১৪ বছর সংশোধনাগারে থেকেও এতুটুকও সংশোধিত হয়নি। তার প্রমাণ, কারামুক্ত হয়ে বেরিয়েই সে নিজের দাদা-বউদিকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করে বলে ফের অভিযোগ উঠেছে। তবে এখনও তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
অভিযুক্তের নাম নুরু বাবুর্চি। বরিশালের কোড়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। দুর্ধর্ষ দুষ্কৃতী হিসেবে কুখ্যাতি ছিল তার। পুলিশ সূত্রে খবর, একবার অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ১৪ বছরের কারাদণ্ড (Jail) হয় নুরু বাবুর্চির। শনিবার বিকেলে সেই সাজা শেষ করে সে কারাগার থেকে ছাড়া পায়। বাড়ির দিকে ফিরেও সে প্রবেশ করেনি। বাড়ির আশেপাশে গা ঢাকা দিয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাত ৮টা নাগাদ নুরুর দাদা দুলাল বাইক নিয়ে কাউরিয়া বাজার থেকে বাড়ির দিকে ফেরার সময়ে অতর্কিতেই হামলা চালায় তাঁর ছোট ভাই। বাড়ির সামনেই দুলালকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে (Stab) থাকে সে। হাঁটু থেকে বাঁ পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়। স্বামীর চিৎকার শুনে দুলালের স্ত্রী নিলুফা বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে দেখেন, ১৪ বছর পর তাঁর দেওর ফিরে এসে ফের নৃশংস হয়ে উঠেছে। তাকে বাধা দিতে যান নিলুফাদেবী। অভিযোগ, তাঁর উপরও ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে নুরু। এরপর প্রতিবেশীরা শোরগোল শুরু করতেই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় সে। তড়িঘড়ি দুলাল এবং নিলুফাকে গুরুতর জখম অবস্থায় দুটি হাসপাতালে ভরতি করানো হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসীম কুমার শিকদার জানিয়েছে, নুরু দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। এর আগে নুরুর হামলায় গ্রামের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। পলাতক হামলাকারীর খোঁজ করছে পুলিশ। তবে তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে না পারলে, এমন আরও হিংসাত্মক কাজ সে করতে পারে, এই আশঙ্কায় কাঁপছেন প্রতিবেশীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.