সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনার সংক্রমণ রুখতে বাংলাদেশ জুড়ে চলছে ১০ দিনের লকডাউন(lock down)। ফলে সাধারণ মানুষের বেশিরভাগের হাতেই কোনও কাজ নেই। চুপচাপ ঘরে বসে থাকা ছাড়া। এই অবস্থায় শ্রমিকের কাজ করা এক যুবক ভেবেছিলেন একা জীবনে একজন সঙ্গী থাকলে মন্দ হয় না। তাই বাড়ির পাশে থাকা পছন্দের মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু, এর জেরে তাঁকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল মেয়ের বাড়ির লোকের বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত জামালপুর জেলায়।
শুক্রবার জামালপুরের দোয়ারিপাড়া গ্রামের প্রয়াত নুরুল ইসলামের ছেলে অটোরিকশা চালক সোহাগ হোসেন (১৮)-এর ঝুলন্ত মরদেহ বাড়ির আঙিনায় দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে। মৃতের মা কাঞ্চন বেগমের অভিযোগ, শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম শ্যামল মিঞার মেয়ে উর্মি খাতুনকে বিয়ে করার জন্য তাঁর কাকা উজ্জল মিঞাকে প্রস্তাব দিয়েছিল সোহাগ। এর জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে উজ্জল।
ফের রাতে ১৫-২০ জন লোক নিয়ে সোহাগের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করে। এই পরিস্থিতি দেখে কাঞ্চন বেগম স্থানীয় ইউনিয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাইতে যান। পরে সেখান থেকে বাড়ি ফিরে এসে দেখেন তাঁর ছেলের লাশ গাছের ডালে ঝুলছে। এই খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান কিনু নারায়ণপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে সোহাগের লাশ উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতের আত্মীয়রা। এপ্রসঙ্গে মেষ্টার ইউপি চেয়ারম্যান মহম্মদ নাজমুল হক বাবু বলেন, সোহাগকে মারধর করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে, এটা হত্যা না আত্মহত্যা তা এখনই বলা সম্ভব নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.