Advertisement
Advertisement

Breaking News

Young German woman marries Bangladeshi youth

অমোঘ প্রেমের টান, জার্মানি থেকে এসে বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের যুবককে বিয়ে তরুণীর

'বাংলাদেশকে আমি ভালবেসে ফেলেছি', দাবি নববধূর।

Young German woman marries Bangladeshi youth । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 26, 2023 12:18 pm
  • Updated:February 26, 2023 12:18 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রেম কোনও বাধা মানে না। তা সে কিলোমিটারের পর কিলোমিটারের দূরত্বই হোক কিংবা অন্য কিছু। আর সেই প্রেমের টানেই সুদূর জার্মানি থেকে বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে তরুণী। মনের মানুষের সঙ্গে বিয়েও করলেন তিনি। বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের একটি আদালতে বিয়ে সারেন দু’জনে।

জার্মানির ওই তরুণীর নাম জেনিফার স্ট্রায়াস। জার্মানির বাইলেফেল্ড স্টেটে বাবা-মার সঙ্গেই বসবাস। তাঁর প্রেমিক চয়ন ইসলাম বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার জোতকুরা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবা রবিউল ইসলাম ইটালিতে থাকতেন। কিছুদিন পর সেখান থেকে তিনি চলে যান জার্মানিতে। পাঁচ বছর আগে সেখানেই একটি ভাষা শিক্ষা কোর্সে ভরতি হন চয়ন। সেখানেই চয়ন ও জেনিফারের আলাপ। মাঝে কোভিডের ধাক্কায় ২০২২ সালের মার্চেই চয়ন বাংলাদেশে চলে আসেন। কিন্তু তাতে জেনিফার ও চয়নের মধ্যে প্রেমে বাধা পড়েনি। ভালোবাসার টানে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে জেনিফার ছুটে আসেন প্রেমিক চয়নের কাছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাত বাড়লেই ফ্ল্যাটে ফুর্তির ফোয়ারা, হৈমন্তীর উদ্দাম জীবনযাপনে অতিষ্ঠ ছিলেন পড়শিরা]

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার হজরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছন। সেখানে প্রেমিক চয়ন ইসলাম ও আত্মীয়স্বজনরা জেনিফারকে স্বাগত জানান। রাতেই চয়ন ও জেনিফার গোপালগঞ্জ শহরে চলে যান। শহরের মডেল স্কুল রোডে রাত্রিবাস করেন। সকালে পরিবারের লোকজন নিয়ে সোজা আদালতে চলে যান। বিবাহবন্ধনে বাঁধা পড়েন দু’জনে।

চয়নের মা ঝর্ণা বেগম বলেন, “বিদেশি বউমাকে পেয়ে আমরা সবাই খুশি। অল্প সময় সবাইকে খুব আপন করে নিয়েছে। ভাবতেও পারিনি সে আমাদের সঙ্গে এত সহজে মিশে যেতে পারবে। গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আনন্দ উৎসব করে আমরা নববধূকে বরণ করে নিয়েছি।” এদিকে জেনিফারের বাবা জোসেফ ট্রায়াস মেয়ের সঙ্গে সারাক্ষণ যোগাযোগ রেখে চলেছেন। জেনিফারের বাবা, মা-সহ পরিবারের অন্যান্যরাও আনন্দিত। জেনিফার তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, “বাংলাদেশকে আমি ভালবেসে ফেলেছি। এখানকার পরিবেশ, আতিথিয়েতা ও সবার ভালবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। পরিবারের সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছেন। সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে চলতে পেরে আমি ভীষণ খুশি।”

[আরও পড়ুন: ‘ছিঃ! এত পচা লোকজন তৃণমূল করে! কে ঢোকাল দলে?’, কুন্তল ইস্যুতে প্রশ্ন মদনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement