Advertisement
Advertisement
Bangladesh

‘হিন্দুদের মন্দির জ্বালিয়ে দেয় ইসলামের সৈনিকরা’, Bangladesh-এ সংখ্যালঘু নিপীড়নে ক্ষুব্ধ তসলিমা

ধর্মের নামে এই উন্মাদনার শিকার হয়েছেন বহু মুক্তমনা।

Writer Taslima Nasrin protests attack on minorities in Bangladesh | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 9, 2021 2:05 pm
  • Updated:August 9, 2021 2:27 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঘটনা নতুন কিছু নয়। মুজিবের বাংলা আজ কার্যত জেহাদিদের চারণভূমিতে পরিণত হয়েছে। আর ধর্মের নামে এই উন্মাদনার শিকার হয়েছেন বহু মুক্তমনা। আজও স্বদেশ থেকে বিতাড়িত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তবুও প্রতিবাদ থামাননি তিনি। এবার খুলনায় সংখ্যালঘুদের মন্দিরে হামলার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন ‘লজ্জা’র লেখিকা।

[আরও পড়ুন: ১৫ আগস্টের মধ্যে আসছে ৫৪ লক্ষ টিকা, স্বস্তিতে Bangladesh]

গত শনিবার খুলনায় বেশ কয়েকটি হিন্দু মন্দির ( Hindu Temple) এবং হিন্দুদের কয়েকটি দোকানে হামলা চালানো হয়।অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। হিংসার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর। শনিবার বিকেলের ঘটনার জেরে থমথমে খুলনার শিয়ালি গ্রাম। এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তুলোধোনা করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন তসলিমা। সেখানে তিনি লিখেছেন, “লজ্জা লিখেছিলাম ২৯ বছর আগে। বর্ণনা করেছিলাম হিন্দুদের দোকানপাট, বাড়িঘর, মন্দির কী করে ভাঙ্গে, জ্বালিয়ে দেয়, পুড়িয়ে ছাই করে ইসলামের সৈনিকেরা। বর্ণনা করেছি অতি দেশ প্রেমিক, এমনকী ধর্ম-না-মানা হিন্দুদেরও কী ভাবে বাধ্য হয়ে পূর্ব পুরুষের ভিটেমাটি ত্যাগ করতে হয়, জীবন এবং অবশিষ্ট সম্মানটুকু বাঁচানোর তাগিদে ছাড়তে হয় প্রিয় দেশ। বই লিখে কী হয়? কিচ্ছু হয় না। আজও একই রকম চলছে হিন্দুর ওপর অত্যাচার। আজও কোনও সরকারই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার কোনও ব্যবস্থা করেনি। আজও হিন্দুরা জীবন এবং সম্মান বাঁচাতে দেশ ত্যাগ করছে। গতকাল খুলনায় মুসলমানেরা ফের গুঁড়িয়ে দিল হিন্দুদের মন্দির,বাড়িঘর,দোকানপাট । হাসিনার কিছু যায় আসে? কিচ্ছু না। হিন্দু-সংখ্যা এত কম যে এটি এখন আর ভোট ব্যাংকও নয়। হাসিনার অবশ্য ভোট টোটেরই আর দরকার নেই। তিনি ওসব ছাড়াই ক্ষমতায় আমৃত্যু থাকবেন বলে পণ করেছেন। অসাম্প্রদায়িকতা, মানবতা, উদারতা, গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা? ফুঃ! ওসব তিনি থোড়াই কেয়ার করেন। ঝুলন দাস এখনও বিনা অপরাধে জেল খাটছেন। হাসিনার কিছু যায় আসে? কিচ্ছু না।”

Advertisement

উল্লেখ্য, খুলনায় ঘটনার সূত্রপাত হয় গত শুক্রবার। ওই দিন সন্ধেবেলা মসজিদে (Mosque) নমাজ পড়া নিয়ে সমস্যা শুরু হয় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে। বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। কিন্তু সেই সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। ওইদিনই হিন্দু ও মুসলিম – দু’পক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে পুলিশ আধিকারিকরা তা মিটিয়ে ফেলেন বলে জানানো হয় থানার তরফে। কিন্তু তার পরেরদিনই হিন্দু মন্দির ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে আগেরদিনের অশান্তির কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ধৃতরা কারা, কী তাদের পরিচয় – সেসব নিয়ে মুখে কার্যত কুলুপ এঁটেছে রূপসা উপজেলার পুলিশ। বাড়তি অশান্তির আশঙ্কায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী।

[আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে এনে সাজা দেওয়া হবে, আশ্বাস Bangladesh-এর আইনমন্ত্রীর]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement