Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh

রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশকে মোটা অঙ্কের টাকা বিশ্ব ব্য়াঙ্কের, অনুদানের আড়ালে ঋণ?

পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তাদের দাবি, ডলার সংকটের এই সময়ে অনুদানের নামে ঋণ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

World Bank approves huge aid for Bangladesh
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:May 30, 2024 5:37 pm
  • Updated:May 30, 2024 5:37 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: এবার বিশ্বব্য়াঙ্ক বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের উন্নয়নের জন্য ৭০ কোটি ডলারের অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু পরিকল্পনা কমিশনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ৭০০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে ৩১৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান ও ৩৮৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ। মূলত ৩১৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেওয়ার নামে ওই এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নে আরও ৩৮৫ মিলিয়ন ডলারের ঋণ নেওয়ার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে অনুদানের আড়ালে কি ঋণের বোঝা চাপানো হচ্ছে?

পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তাদের দাবি, যেসব প্রকল্পে ঋণ দেওয়া হচ্ছে, তা রোহিঙ্গা না থাকলে ওই এলাকায় বর্তমানে প্রয়োজন ছিল না। ডলার সংকটের এই সময়ে সরকারের দুর্বলতা বুঝে অনুদানের নামে ঋণ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ এর আগে কখনও রোহিঙ্গাদের জন্য ঋণ নেয়নি সরকার। এক আধিকারিকের কথায়, “এই ঋণের মাধ্যমে কিছু প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, যেগুলো আমাদের পরিকল্পনায়ও ছিল না। এখন সংকটের মুহূর্তে অনুদান পেতে সরকার প্রয়োজন না হলেও এই ঋণ নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাধ্যমে আসায় পরিকল্পনা কমিশন বা ইআরডি প্রকল্পের ঋণের বিষয়ে কোনো দর-কষাকষি করতে পারেনি। তাহলে হয়তো অনেক ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো যেত। রোহিঙ্গাদের দায় সারা বিশ্বের, সেখানে আমরা তাদের জন্য কেন ঋণ নেব?” এনিয়ে বিশ্বব্য়াঙ্কের নির্বাহী পরিচালকদের পর্ষদ জানিয়েছে, মৌলিক সেবা প্রদান এবং দুর্যোগ ও সামাজিক সহিষ্ণুতা তৈরিতে দুটি প্রকল্পের আওতায় এই অর্থ ব্যয় হবে। গতকাল অর্থাৎ বুধবার বিশ্বব্য়াঙ্কের বোর্ড সভায় এই অর্থ সহায়তার অনুমোদন দেওয়া হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মোঘল আমলে নির্মিত রাজা প্রতাপাদিত্যের মন্দির, ৪০০ বছর পর সংস্কারের পথে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণকের এক কর্মকর্তা বলেন, “তারা যে রোহিঙ্গাদের জন্য ঋণ ও অনুদান দেবে সেটা তাদের অনেক আগের সিদ্ধান্ত। তারা যে সময়ে প্রস্তাব এনেছে সেটাও আমাদের কাছে আগে বললে এত দিনে প্রকল্পগুলো পাস হয়ে যেত। তারা তাড়াহুড়া করতে গিয়ে দেরি করেছে। যে মিটিং পরিকল্পনা কমিশনে হওয়ার কথা সেটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাধ্যমে এসে আমাদের ওপর চাপ বেড়েছে, নেগোসিয়েশন কম হয়েছে।” এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্য়াঙ্কের প্রধান অর্থনীতিবিদ তথা ও বিআইডিএসের প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী জানার, বাংলাদেশ এখন বিদেশি ঋণের চাপে রয়েছে। সামনে চাপ আরও বাড়বে। তাই ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। কারণ এই ঋণ সরকারকেই শোধ করতে হবে।

বলে রাখা ভালো, ২০১৭ সালের আগস্টে মায়ানমার সেনাবাহিনীর ‘গণহত্যা’ ও ‘নিপীড়নে’র মুখে দেশটি থেকে প্রায় ৭ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। সবমিলিয়ে মিলিয়ে এখন প্রায়যাতে চাপ বেড়েছে দেশের সরকারের। হিংসা, মানবপাচার এবং মাদক কারবারের কারণে ভয়ানক হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের একাধিক রোহিঙ্গা শিবিরের পরিস্থিতি। যা নিয়ন্ত্রণ করতে এখন হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। এখন নতুন করে মায়ানমারে সংঘর্ষ শুরু হওয়ায় ফের রোহিঙ্গাদের ঢল নামার আশঙ্কা করা হচ্ছে বাংলাদেশে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement