ছবি প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: স্ত্রীর সহযোগিতায় কিশোরীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ওই ব্যক্তির অত্যাচারে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে কিশোরী। তারপরই গোটা ঘটনাটি জানাজানি হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্তের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে মহিলার স্বামী-সহ ঘটনায় জড়িত প্রায় প্রত্যেকেই পলাতক। তাদের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি। ঘৃণ্য ঘটনার সাক্ষী হওয়ার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে ওই কিশোরী। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি রয়েছে সে।
গত ৩০ জুলাই বাংলাদেশের ধামরাইয়ের আমতা ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরীকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তের স্ত্রী উজালা বেগম। অভিযোগ, ওই মহিলার উপস্থিতিতে তার স্বামী মোকছেদ আলি কিশোরীকে ধর্ষণ করে। গত ২১ অক্টোবর অসুস্থ হয়ে পড়ে কিশোরী। চিকিৎসক জানান, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে সে। এরপর ধর্ষণের ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। অভিযোগ, ধামাচাপা দিতে স্থানীয় ইউপি মেম্বার ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন ওই কিশোরীর বাড়িতে আসে। কিশোরীর পরিবারকে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয়। বিচারের নামে কিশোরীর পরিবারের থেকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নেয় বলেও অভিযোগ।
তবে তারপরেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতার পরিজনেরা। ধামরাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে ওই থানার পুলিশ আধিকারিক দীপক চন্দ্র সাহা বলেন,”বিকৃত মানসিকতা থেকে এমন কাজ করেছে দম্পতি। কিশোরীর পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্তের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিরা ঘটনাস্থলে ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের খোঁজ চলছে।”
এদিকে, নির্যাতিতা ওই কিশোরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার বা ওসিসি-তে শারীরিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.