ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে মসজিদের ইমামকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছিলেন। এর জেরে রবিবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল এক যুবতী। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলায়। সাজাপ্রাপ্ত ওই গৃহবধূর নাম ময়না আক্তার। এই মামলায় তাঁর ভাই মনির হোসেনকেও সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ময়নাকে ২ লক্ষ ও মনিরকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করেছেন কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মহম্মদ আবদুর রহিম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ (Bangladesh) কিশোরগঞ্জের বৌলাই পূর্ব বরাটি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান কুলিয়ারচর উপজেলার উসমানপুরের একটি মসজিদে ইমামতি করত। ২০১৬ সালের ১৪ আগস্ট রাত তিনটের সময় স্থানীয় বাজরা-চৌমুড়ি রোডের পাশ থেকে হাফেজ মিজানুর রহমান মিজান নামে ওই ইমামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে প্রবল উত্তেজনাও ছড়ায় এলাকায়। এর পরের দিন নিহতের ভাই মহম্মদ নুরুল হক অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের নামে কুলিয়ারচর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।
সেই ঘটনার তদন্তে নেমে কোনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলামের স্ত্রী ময়না আক্তার ও তাঁর ভাই মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। আর ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল দু’জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেন স্থানীয় এসআই (SI) কোহিনুর মিয়া। হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার দিন গভীর রাতে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রী ময়নাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় ইমাম মিজানুর রহমান মিজান। বাধ্য হয়ে ময়না তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে ভাই মনিরের সাহায্যে লাশ বস্তায় ভরে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.