সুকুমার সরকার, ঢাকা: চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় স্থানীয় বাজারে লাফিয়ে বেড়েছে দাম। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে বাসমতী বাদে চাল রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। এর ফলে প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা।
সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতের সিদ্ধান্তে আপাতত কোনও সমস্যা তৈরি হবে বলে মনে করে না তারা। বর্তমানে সরকারি গুদামে প্রায় ২০ লক্ষ টন চাল ও গম মজুত আছে। ফলে অতিরিক্ত চাল আমদানি করার দরকার হবে না। সরকারিভাবে পাঁচ লক্ষ টন চাল ও সাত লক্ষ টন গম কেনার পরিকল্পনা হয়েছিল। কিন্তু দেশে চালের উৎপাদন ভাল হওয়ায় সেই লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দুই লক্ষ টনে নামিয়ে আনা হয়েছে। আর গমের ক্ষেত্রেও পরিমাণ কমিয়ে পাঁচ লক্ষ টনে নামিয়ে আনা হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রকের সচিব মহম্মদ ইসমাইল জানান, বোরো ধানের উৎপাদন ভাল হয়েছে। আমনেও ভাল ফলন হওয়ার সম্ভাবনা। ফলে দেশে যা চাল আছে, তাতে সারা বছরের চাহিদা মিটে যাবে। ফলে ভারত চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও বাংলাদেশের সমস্যা হবে না। গমের ক্ষেত্রে রাশিয়া ও ইউক্রেনের বাইরে বিকল্প বাজার খোঁজা হচ্ছে। ওই দুই দেশ থেকেও কীভাবে আমদানি অব্যাহত রাখা যায়, সেই চেষ্টাও চলছে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক বাজারে সিংহভাগ (৯০ শতাংশ) চাল রপ্তানি করে থাকে ভারত-সহ এশিয়ার দেশগুলি। ফলে ভারতের এই সিদ্ধান্তে দেশে চালের দাম কমলেও আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম অনেকটাই বেড়ে যাবে। বিশ্ব বাজারে একাই ৪০ শতাংশ চাল রপ্তানি করে থাকে ভারত। কমবেশি ১০০টি দেশ ভারতের এই খাদ্যশস্য কেনে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ক্রেতা চিন, বেনিন, সেনেগাল, টোগো ইত্যাদি দেশগুলি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.