ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: তিরিশ বছরের মধ্যে ছ-ছ’টি বিয়ে। নিত্যদিন যৌনসঙ্গী বদল। এসবের মাশুল গুনতে হল বাংলাদেশের মেহেরপুরের যুবককে। অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্বামী রঞ্জিত মিঞার পুরুষাঙ্গে ব্লেড চালিয়ে দিলেন নববিবাহিত ষষ্ঠ স্ত্রী। গুরুতর জখম হয়ে রাজশাহি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি রঞ্জিত।
ঘটনা মেহেরপুরের কাজিপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে। বছর পঁয়তাল্লিশের রঞ্জিত মিঞার নেশা, নিত্যনতুন বিয়ে করা। ৩০ বছরের সংসার জীবনে ইতিমধ্যেই ছ’জনের স্বামী। তবে কারও প্রতিই কোনও কর্তব্য পালন করত না বলে একযোগে অভিযোগ ছয় জায়ার। প্রথম থেকে ষষ্ঠ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকে স্ত্রীদের ওপর শুরু হত তার অমানুষিক অত্যাচার। প্রথম স্ত্রী খোঁসজান নেছা, দ্বিতীয় স্ত্রী লিপিয়ারা খাতুন, তৃতীয় স্ত্রী কমেলা খাতুন, চতুর্থ স্ত্রী যআনজিরা খাতুন,পঞ্চম স্ত্রী কহিজান নেছা ও শেষ স্ত্রী পানছুরা কাতুন। রঞ্জিত মিঞা পেশায় একজন মুরগি ব্যবসায়ী। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, হাতে কিছু টাকা পেলেই তিনি ফের বিয়ে করেন। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পুলিশ, র্যাব – সর্বস্তরেই রঞ্জিতের এই অন্যায়ের প্রতিকারের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শুধরোয়নি সে। তবে চরম শাস্তিটি দিলেন ষষ্ঠ স্ত্রী।
[খালেদা জিয়াহীন বিএনপি? প্রক্রিয়া শুরু দলের স্থায়ী কমিটির]
দিন চারেক আগেই পানছুরা বেগম নামে বছর উনিশের তরুণীকে বিয়ে করে রঞ্জিত। এটি তার ছ নম্বর বিয়ে, জানতে পেরে পানছুরা স্বামীকে শাস্তি দেওয়ার ফন্দি আঁটেন। শুক্রবার রাতে স্বামীকে ঘরে ডেকে প্রণয়ীসুলভ আচরণের ফাঁকে আচমকাই ধারালো ব্লেড চালিয়ে দেন তার পুরুষাঙ্গে। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা গিয়ে রঞ্জিতকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। মেডিক্যাল অফিসার বিডি দাশ পিকলু জানিয়েছেন, ‘রঞ্জিত মিঞার পুরুষাঙ্গের ৯৫ ভাগ কেটে গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে সেলাই দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য মেহেরপুরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’ এরপরও কি শুধরোবে রঞ্জিত মিঞা? তা নিয়েই এখন গুঞ্জন অন্দরমহলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.