সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) দাপট ‘গোষ্ঠী সংক্রমণের’ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভাইরাসটি এমনভাবে ছড়াচ্ছে, যার উৎস জানা সম্ভব হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক এই সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ড. পুনম ক্ষেত্রপাল সিং এমনই জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমে। তিনি এটাও বলেছেন, বাংলাদেশবাসীর মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি (Hard Immunity) তৈরি হয়েছে, এমন কোনও তথ্য-প্রমাণও পাওয়া যায়নি।
WHO’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অধিকর্তা ড. পুনম ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করে জানাচ্ছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ভাইরাসটি কার্যকর রয়েছে। নিয়মিত পর্যালোচনা জারি রাখা জরুরি। এই ভাইরাস মোকাবিলায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থায় শিথিলতা দেখানোর কোনও সুযোগই নেই। রোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের প্রশংসা করেন এই বিজ্ঞানী। তিনি বলেন, ”সরকারের সমন্বয়মূলক কাজ, আগেভাগে রোগ শনাক্তকরণ, স্বাস্থ্যসুরক্ষা ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ সুফল এনে দিয়েছে। এসব পদক্ষেপ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া এবং চিকিৎসা দরকার, এমন নতুন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা সীমিত পর্যায়ে রাখতে সহায়তা করেছে। যার ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর তেমন চাপ হয়নি।”
ড. পুনমের মতে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যাচ্ছে, সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা কমার পর আবার তা বাড়তে শুরু করেছে। তাই এটা বলা যাচ্ছে না যে করোনা পরিস্থিতি কোনও জায়গাতেই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। বাংলাদেশেও সংক্রমণের হার প্রতিদিনই কমছে। রোগী শনাক্তের হার ১১.৩৫ শতাংশ। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৪৭৩৩। জুলাইয়ের শুরু থেকে করোনা পরীক্ষা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেও চাপে রাখছে গোষ্ঠী সংক্রমণ নিয়ে WHO’র উদ্বেগপ্রকাশ। সংক্রমণের উৎস অজানা থাকায় সেই আশঙ্কা বাড়ছেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.