ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারের টালমাটাল পরিস্থিতির জেরে বহু বছর ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন রোহিঙ্গারা। তাঁদের জন্য তহবিল বাড়াতে আইওএম (আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা)-এর কাছে একাধিকবার আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তিনি। কিন্তু পদ্মাপারে পতন ঘটেছে হাসিনা সরকারের। এখন বাংলাদেশে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নেতৃত্বে রয়েছেন ড. মহম্মদ ইউনুস। এখন প্রশ্ন, এবার বাংলাদেশে থাকা লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গার ভবিষ্যৎ কী হবে?
গতকাল, রবিবার বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। আলোচনায় উঠে আসে রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গও। হাসিনার ক্ষমতায় থাকার সময় এই শরণার্থীদের নিয়ে ঢাকার অবস্থান যা ছিল, এখনও তাই থাকবে। রোহিঙ্গাদের সাহায্য অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়ে এদিন ইউনুস জানান, “বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন। এই সরকার তাঁদের সহায়তা করব। রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক মহলের নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তাঁদের মায়ানমারে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন প্রয়োজন।”
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্টে মায়ানমার সেনাবাহিনীর ‘গণহত্যা’ ও ‘নিপীড়নে’র মুখে দেশটি থেকে প্রায় ৭ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। সবমিলিয়ে মিলিয়ে এখন ১২ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারে বসবাস করছে। এছাড়া হিংসা, মানবপাচার এবং মাদক কারবারের কারণে ভয়ানক হয়ে উঠেছে সেদেশের একাধিক রোহিঙ্গা শিবিরের পরিস্থিতি। যা নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেয়েছে হাসিনা সরকার। সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মায়ানমার। সংঘাতে জড়িয়েছে বার্মিজ সেনা তথা ‘টাটমাদাও’ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মি। প্রাণভয়ে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নেওয়ার জন্য সীমান্তে অপেক্ষা করছেন হাজার হাজার রোহিঙ্গা। ফলে এখন এই অন্তর্বর্তী সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুকে কীভাবে সামাল দেয় সেদিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.