Advertisement
Advertisement
Bangladesh

সামরিক শাসনের পথে বাংলাদেশ? গুজব ছড়ানো নিয়ে কড়া বার্তা সেনাপ্রধানের

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সেনার দ্বন্দ্ব চরমে।

What Bangladesh Army Chief Say about fake news in Bangladesh
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:March 25, 2025 11:19 am
  • Updated:March 25, 2025 12:12 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জামাতের মতো কট্টরপন্থীরা। অপরদিকে বার বার নির্বাচনের দাবি জানোনো খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। মাঝে সেনাবাহিনী। বাংলাদেশের এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করছে। আগুনে ঘি ঢেলেছেন ছাত্রদলের অন্যতম নেতা হাসনাত আবদুল্লা। ‘রিফাইন্ড আওয়ামি লিগ’ গঠনে সেনাবাহিনী চাপ দিচ্ছে, তাঁর এই ফেসবুক পোস্টে ক্ষুব্ধ সেনাকর্তারা। সোমবার ঢাকায় সেনানিবাসের প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ জামান। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, ওই বৈঠকে দেশে গুজব ছড়ানো নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে সেনাবাহিনী। পাশাপাশি ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি অরাজক বাংলাদেশ এবার সামরিক শাসনের পথে?

সংখ্যালঘু অত্যাচারের পাশাপাশি ভেঙে পড়েছে পদ্মাপাড়ের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা, ভঙ্গুর অর্থনীতির জেরে মূল্যবৃদ্ধি মাত্রা ছাড়িয়েছে। এইসঙ্গে সাধারণ মানুষের উপর কট্টরপন্থীদের অত্যাচার। মাথা চারা দিয়েছে জঙ্গিবাদ। সব মিলিয়ে ফলে গরিব থেকে মধ্যবিত্ত, বাংলাদেশের আমজনতা বিরক্ত। এই অবস্থায় পুলিশের উপর ভরসা না রাখতে পেরে আগেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে ইউনুস সরকার। এরপরেও ধর্মীয় হানাহানির পাশাপাশি রাজনৈতিক সংঘর্ষ, খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনায় উদ্বিগ্ন সেনাবাহিনী।

Advertisement

প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাপ্রধান দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নানা ধরনের অপপ্রচার, গুজব, উসকানিমূলক বক্তব্য-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সোমবারের বৈঠক কথা বলেছেন। বাংলাদেশের সেনা যে গোটা বিষয়ে উদ্বিগ্ন এবং পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে, সে কথাও উল্লেখ করা হয়। কর্মকর্তা ও সৈনিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান বলেছেন, তাঁদের আত্মত্যাগ দেশ সব সময় স্মরণ করবে। তিনি সবাইকে ধৈর্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি উসকানিমূলক বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে বারণ করেছেন। মন্তব্য করেন, এমন কিছু করা যাবে না, যাতে উসকানিদাতাদের লক্ষ্য পূরণ হয়।

বৈঠকে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান আরও বলেন, দেশে কোনও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি। অনেকে নানা ভুল তথ্য, অপতথ্য নানা ভাবে ছড়াচ্ছে। এতে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। পরিস্থিতি সামলাতে হবে ধৈর্যের সঙ্গে। সেনাবাহিনীর কাছে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেশ ও দেশের জনগণ। সামনে ঈদ, সে কথা মনে রেখে সেনাপ্রধান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে হবে। যদি কোনও কারণে কোথাও আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়, কঠোরভাবে সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন হল, সেনাবাহিনীকে যদি দিনের পর দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হয়, ইউনুস সরকার তবে ঠিক কী করছে? জামাত, ছাত্রদল এবং ইউনুসের ব্যর্থতাই কী প্রমাণ করে না এই পরিস্থিতি? পুরোপুরি না হলেও এই আধা সামরিক শাসনের বাংলাদেশের ভবিষ্যতে কোন দিকে গড়াবে, তা এখনই বলা কঠিন।    

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement