Advertisement
Advertisement
মৃত্যুদণ্ড

বাংলাদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী মহম্মদ কায়সারের মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানকে সাহায্য করতে একটি বাহিনী তৈরি করেছিল কায়সার।

War crimes: SC upholds Syed Mohammad Qaisar's death penalty

ফাইল ফটো

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:January 14, 2020 12:06 pm
  • Updated:January 14, 2020 12:06 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মহম্মদ কায়সারের মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। মুক্তিযুদ্ধের সময় কায়সার বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানের পক্ষে লড়াই করেছিল। পাক সেনাদের সঙ্গে যৌথভাবে হবিগঞ্জ, চুনারুঘাট, মাধবপুর, নাসিরনগর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায-সহ বিভিন্ন এলাকায় নারকীয় হত্যালীলাও চালায়। এছাড়া লুটপাট, ধর্ষণ ও আগুন লাগানোর মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করার অভিযোগও রয়েছে তার নামে। এই কারণে বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির প্রাক্তন ওই নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল(International Crimes Tribunal)।

কিন্তু, এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মহম্মদ কায়সার। গত ৩ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে তাঁর এই আবেদনের শুনানি হয়। কায়সার ও সরকারপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর ১৪ জানুয়ারি এই বিষয়ে রায় দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করে চার সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মসজিদ থেকে ঘোষণা, বাংলাদেশে গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ৩ ]

 

মঙ্গলবার সকালে সেই ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশকেই বহাল রাখল তারা। এর ফলে সৈয়দ মহম্মদ কায়সারের ফাঁসিতে ঝোলা সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন আইনজীবীরা।

[আরও পড়ুন: নৌকা না মাঠ! বাংলাদেশের নির্মীয়মাণ এই স্টেডিয়াম সম্পর্কে জানলে অবাক হবেন ]

 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কায়সারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। আর ১৬ মার্চ তাকে ঢাকার ভাটারা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে অনুষ্ঠানিকভাবে মানবতাবিরোধী ১৬টি অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়। আর ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বর ১৬টি অভিযোগের মধ্যে ১৪টিতে দোষী সাব্যস্ত হয় সে। যার মধ্যে সাতটি মামলার রায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। বাকি চারটে মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর ফলে ২০১৩ সাল থেকে জেলবন্দিই ছিল এরশাদ মন্ত্রিসভার এই সদস্য।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement