কৃষ্ণকুমার দাস: সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়া ও জঙ্গিদের নেটওয়ার্ককে অর্থসাহায্য করা নিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচনে ৪৭ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে আপত্তি জানাল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। তাদের মধ্যে ২২ জন আবার জামাতের প্রার্থী।বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী নাশকতায় যুক্ত থাকার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা চলছে। বেগম খালেদা জিয়ার জোটের ওই প্রার্থীদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে বড়মাপের অমানবিকতার অভিযোগও রয়েছে। খালেদা জোটের ‘জয়প্রকাশ নারায়ণ’ ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডঃ কামাল হোসেনকে ওই তালিকা পাঠিয়ে প্রতিটি নাম নিয়ে অভিযোগের তালিকা দিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করার প্রত্যাশা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। নাম না করে জামাতের মতো সংগঠনের কাজকর্ম নিয়ে কটাক্ষ করে মিলার বলেছেন, “সবাই যেন হিংসা থেকে দূরে থাকে। কারণ, হিংসা গণতন্ত্রের পথে বাধা। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, শুধু তাদের উদ্দেশ্য পূর্ণ করে হিংসা।”
[ নির্বাচন বানচাল করতে পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক বিএনপির!]
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের ধারাবাহিক লড়াইয়ে ভারতের পাশাপাশি আমেরিকাও বহুবার শেখ হাসিনা সরকারকে সমর্থন করে এসেছে। স্বয়ং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও একবার ঢাকায় পৌছে প্রকাশ্যে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুকন্যার লড়াইকে কুর্নিশ করে এসেছেন। জঙ্গিদের মদত দেওয়ার কারণে দিনকয়েক আগে পাকিস্তানকে আর্থিক বরাদ্দ বাতিল করে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে গত কয়েক বছরে কথায় কথায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের নাম নিয়ে বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের নেতারা আওয়ামি লিগকে ভয় দেখাচ্ছে। ভোট নিয়েও খালেদা জোটের নেতারা বারকয়েক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে গিয়ে কাঁদুনি গেয়েছেন। এবার বিরোধীদের ‘ভরসা’র জায়গা মার্কিন রাষ্ট্রদূতই তালিকা পাঠিয়ে ঐক্যফ্রন্টের নেতা কামাল হোসেনকে জানিয়ে দিলেন, ৪৭ প্রার্থী নিয়ে প্রবল আপত্তি রয়েছে আমেরিকার। যারা জামাতের প্রার্থী হয়ে বিএনপির ভোটব্যাঙ্কের সমর্থন নিচ্ছেন, তারা অনেকেই ভারতবিরোধী নাশকতায় অন্যতম চক্রান্তকারী অভিযোগ।
ট্রাম্প প্রশাসনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা স্মরণ করিয়ে খালেদা শিবিরকে রাষ্ট্রদূতের কড়া বার্তা, “মার্কিন সরকার মনে করে, যে সব ব্যক্তি কিংবা দল সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত সেই ব্যক্তি বা দল কখনই গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক হতে পারে না। বরং ওই ব্যক্তিরা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক।” জামাতের ২২ জন সহ ওই ৪৭ প্রার্থীর সপক্ষে ডঃ কামাল হোসেনকে প্রচারে অংশ না নিতে অনুরোধ করা হয়েছে দূতাবাসের তরফে। সরকারিভাবে অবশ্য এমন কোনও বার্তা দেওয়ার কথা স্বীকার করেনি ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।
[সন্ত্রাসবিরোধী চলচ্চিত্রের নায়ক-পরিচালককে হত্যার চেষ্টা, গ্রেপ্তার ২]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.