ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: রোগ থেকে সুস্থ হওয়ার নির্দিষ্ট ওষুধই নেই, আবার প্রতিষেধক! করোনা ভাইরাসের ভুয়ো প্রতিষেধক বিক্রির জন্য বাংলাদেশে ২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে সশ্রম কারাদণ্ড দিল বাংলাদেশের একটি আদালত। দোষীদের নাম রুবেল মিঞা এবং রাশেদুল ইসলাম। দু’জনেই ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের বাসিন্দা। তাদের সাজা ঘোষণা করেছে কেন্দুয়ার উপজেলার ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধেবেলা কেন্দুয়ার গন্ডা হাজারে মাইকে দু’জন ঘোষণা করতে থাকে যে তাদের কাছে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক রয়েছে। তারা সেসব বিক্রি করছে। খবর পেয়ে কেন্দুয়ার নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান রুহুল ইসলাম এবং কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহম্মদ রাশেদুজ্জামান সেখানে হাজির হন। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বিচার শুরু হয়। রুবেল মিঞা এবং রাশেদুল ইসলাম নিজেদের দোষ স্বীকার করে বলে আদালত সূত্রে খবর। পরেরদিন, বৃহস্পতিবার দু’জনকে দু বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘মানুষকে প্রতারণা করে ওষুধ বিক্রির অভিযোগে ওই দুই ভুয়ো চিকিৎসককে মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০-এর ২৯ ধারায় এই সাজা দেওয়া হয়েছে।’
এমনিতেই করোনা ভাইরাস বিশ্বত্রাস হয়ে উঠেছে। বিশ্বব্যাপী মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। নির্দিষ্ট ওষুধ খুঁজে বের করতে হিমশিম খাচ্ছেন তাবড় গবেষকরা। বাংলদেশের অন্তত ৩ জনের শরীরে COVID-19’এর জীবাণু মিলেছে। ছ’শো জনেরও বেশি বাসিন্দাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তারই মধ্যে একেবারে ‘প্রতিষেধক’ দাবি করে ভুয়ো ওষুধ বিক্রি মানুষকে আরও বিভ্রান্ত করে দিতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই দু’জনকে এমন কড়া শাস্তি দেওয়া হল বিচারবিভাগীয় সূত্রে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.