ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: খাদ্যসুরক্ষার জন্য নির্দিষ্ট কার্ড তৈরি করে দেওয়ার নাম করে ডেকে গৃহবধূকে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ। প্রতিবাদ করলে সেই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি। ওই গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশের (Bangladesh) নাটোরে গ্রেপ্তার শাসকদল আওয়ামি লিগের দুই নেতা। ধৃতদের মধ্যে একজন আওয়ামি লিগের ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামি লিগ যদিও এ বিষয়ে আইনের উপরই ভরসা রেখেছে।
জানা গিয়েছে, ঘটনা প্রায় মাস তিনেক আগেকার। নাটোরের নলডাঙা উপজেলায় এক গৃহবধূকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান আওয়ামি লিগের (Awami League) নেতা ইব্রাহিম দেওয়ান। তিনি এলাকার একটি ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক। ওই গৃহবধূকে বলা হয়, তাঁর ছবি তুলে ভিজিএফ কার্ড অর্থাৎ খাদ্যসুরক্ষার জন্য নির্দিষ্ট কার্ড তৈরি করা হবে। অভিযোগ, এরপর ইব্রাহিম এবং তাঁর সহকারী বকুল হোসেন – দু’জন মিলে বধূকে ধর্ষণ করে। সেসময় মোবাইলে ভিডিও করে তারা। এই ঘটনার কথা বাইরে প্রকাশ করলে ওই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়া হবে বলে গৃহবধূকে তারা হুঁশিয়ারি দেয় বলেও অভিযোগ। চাপে পড়ে যান গৃহবধূও। তিনি প্রথমে ইব্রাহিম এবং তার সহযোগীর কুকীর্তির কথা ফাঁস করেননি।
কিন্তু অভিযোগ, ওই ভিডিওর কথা বলে বারবারই তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান ইব্রাহিম এবং বকুল। শেষপর্যন্ত তাদের এই অত্যাচার আর মেনে নিতে না পেরে শুক্রবার রাতে গৃহবধূ থানায় উপস্থিত হয়ে সবটা জানান। তদন্তে নেমে শনিবার সকালেই দু’জনকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে নাটোর থানার পুলিশ। নাটোরের ওসি জানিয়েছেন, আওয়ামি লিগের ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম এবং তার সহযোগী বকুল হোসেনকে গ্রেপ্তারির পর আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক তাদের জেল হেফাজতে পাঠান।
এদিকে, দলের নেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় আওয়ামি লিগ আইনের উপরই ভরসা রাখছে বলে জানান স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামি লিগ সভাপতি কলিমউদ্দিন। তিনি জানান যে ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে দলীয় স্তরে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.