Advertisement
Advertisement
Bangladesh

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে খুন যুবককে, গণপিটুনিতে নিহত ছাত্রলিগ নেতা! এ কোন বাংলাদেশ?

গণপিটুনির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

Bangladesh: Two dead in the incident of lynching, common people are protesting

প্রতীকী ছবি

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:September 20, 2024 2:15 pm
  • Updated:September 20, 2024 4:38 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জোড়া গণপিটুনির ঘটনায় নতুন করে অশান্তি বাংলাদেশে। দুই যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। একইদিনে ঘটা দুই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের নানা প্রান্তে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশে। মোবাইল চোর সন্দেহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক যুবককে নৃশংসভাবে পিটিয়ে মারা হয়! এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জাহাঙ্গীরনগরের ঘটনাতেও ১ জন আটক হয়েছে। গণপিটুনির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সকলে গণতান্ত্রিক অধিকার সুনিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছেন।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, বুধবার প্রথম ঘটনাটি ঘটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। অভিযোগ, পড়ুয়ারা এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যেই এক যুবককে মোবাইল চোর সন্দেহে ধরে ফেলে। মারধর করার আগে তাঁকে ক্যান্টিনে নিয়ে গিয়ে ভরপেট খাওয়ায়। তার পরই শুরু হয় বেদম মার। ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই যুবক। রাত ১০টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের মারধরের খবর পেয়ে শিক্ষকরা ছুটে আসেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, ওই যুবক মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন। ওই পড়ুয়াদের তিনি বার বার জানিয়েছিলেন মোবাইলের প্রসঙ্গে তিনি কিছু জানেন না। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় ৬ জন আবাসিক ছাত্রকে প্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেও ৭ সদস্য়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Advertisement

অন্যদিকে, একইদিনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। সেখানে আক্রান্ত হন আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলিগ নেতা ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিসের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে তাঁকে দফায় দফায় মারধর করে কয়েকজন। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে শামীমের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছাত্রদলের ৪ জন ও ১ সমন্বয়ক। ইতিমিধ্যে আটক হয়েছে ১। নিহত শামীমের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি নাকি ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলার ঘটনায় যুক্ত ছিলেন।

এই দুই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজধানী ঢাকা-সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবাদে নামেন সাধারণ মানুষ। ঢাকায় মশাল হাতে বড় সমাবেশও করেন তাঁরা। সমাবেশের বক্তারা বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি করেছে, তাতে প্রত্যেক নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা প্রাথমিক কর্তব্য বলে তাঁরা মনে করেন। তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অবিলম্বে বিচারবহির্ভূত এসব হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্ত ও বিচারের দাবি করেন। একই সঙ্গে মৌলিক মানবাধিকার পরিপন্থী যেসব আইন আছে, তা অবিলম্বে বাতিল করার দাবি জানান তাঁরা। এদিকে, এই দুই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। দুঃখ প্রকাশ করে তিনি অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement