Advertisement
Advertisement
Hindu

পীরগঞ্জে হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনায় দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন

সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ।

Two committees form to investigate attack on Hindus at Pirganj in Bangladesh | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 21, 2021 3:50 pm
  • Updated:October 21, 2021 3:50 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: পীরগঞ্জ উপজেলায় হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনায় দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন। হিংসার ঘটনাগুলির নেপথ্যে কে বা কারা ছিল, সেই রহস্যের সমাধানে একটি কমিটি গঠন করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও অপরটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তির জের, ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পুজো বন্ধের সিদ্ধান্ত]

জানা গিয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তৈরি তদন্ত কমিটির সদস্য সংখ্যা তিন। কমিটির প্রধান করা হয়েছে কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আশরাফুল আলমকে। সদস্যরা হলেন কমিশনের উপপরিচালক এম রবিউল ইসলাম ও পীরগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) খায়রুল ইসলাম। সাতদিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) খায়রুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে তদন্তকাজ শুরু করেছেন।

Advertisement

অন্যদিকে রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বৃহস্পতিবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ওই হিংসার ঘটনার তদন্তে তিনি গতকাল বুধবার তিন সদস্যের কমিটি করেছেন। কমিটির প্রধান রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) গোলাম রব্বানি। সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বলে রাখা ভাল, দুর্গপুজোর সময় কোরানের অবমাননার গুজবে বাংলাদেশি হিন্দুবিরোধী দাঙ্গা চরমে ওঠে। দেশের একাধিক জেলায় আক্রান্ত হন সংখ্যালঘুরা।    

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কোরান শরিফের অসম্মান করা হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছিল। এরপর অষ্টমীর রাতে বাংলাদেশের একাধিক পুজোমণ্ডপে ভাঙচুর শুরু হয়। এই ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারির নির্দেশ দেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পরই তৎপর হয় সে দেশের পুলিশ ও গোয়েন্দারা। কুমিল্লার নানুয়া দীঘিরপাড় মণ্ডপে কোরান রাখা নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত হয় বলে মনে করছিল পুলিশ। তাই সেই মণ্ডপ সংলগ্ন সমস্ত সিসিটিভি ফুজেট খতিয়ে দেখতে শুরু করে তারা। তাতেই মেলে ‘ব্রেক থ্রু’। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা গিয়েছে, সপ্তমীর রাতে কুমিল্লা শহরের নানুয়া দীঘি এলাকার একটি মাজার থেকে কোরান হাতে এক ব্যক্তি বের হয়। কিছুক্ষণ পর তাঁকে নানুয়াদিঘীর পাড়ে দেখা যায়। তখন আর তার হাতে বইটি দেখা যায়নি। বরং তার হাতে ছিল হনুমানজির গদা। ছবিগুলি বিশ্লেষণ করে ইকবালকে শনাক্ত করেছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বাংলাদেশ, হিন্দু নির্যাতনে তোপ অ্যামনেস্টির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement