সুকুমার সরকার, ঢাকা: এবার খরস্রোতা পদ্মা নদীর (Padma River) উপর দিয়ে চলল রেলগাড়ি। পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার পর গত জুন থেকে সব ধরনের যানবাহন। আর মঙ্গলবার পরীক্ষামূলকভাবে চলল ট্রেন (Trains)। আর তাতে পূরণ হল আরেকটি স্বপ্ন। এই ট্রেনের প্রথম যাত্রী হিসেবে পদ্মা সেতু পার হয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। অত্যন্ত খুশি তিনি।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ একটি গ্যাং কার (পরিদর্শন ট্রেন) ভাঙা থেকে মাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। এরপর ছ’বগির একটি ট্রেন পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়ায় যায়। ট্রেনটি আবার সেতু পার হয়ে মাওয়া থেকে ভাঙা জংশনে ফিরে যায়। গত বছরের ২৫ জুন দ্বিতল পদ্মা সেতুর আপার ডেকে (উপরতলা) যানবাহন চলাচল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Bangladesh PM Sheikh Hasina)। গত ২০ আগস্ট ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর লোয়ার ডেকে (নিচতলা) রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু হয়। ছ’ মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ করা লক্ষ্য ছিল।
প্রকল্পের পরিচালক জানিয়েছেন, ৩১ মার্চ সেতুতে স্লিপার ঢালাইয়ের মাধ্যমে ব্যালাস্টলেস বা পাথরবিহীন রেললাইন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকার কমলাপুর থেকে মাওয়া, পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙা পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চালাতে চায় রেলওয়ে। রেলমন্ত্রী যদিও একাধিকবার ঘোষণা দিয়েছিলেন – জুনেই যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে। তবে প্রকল্প সূত্রে খবর, ঢাকা-মাওয়া-ভাঙা রুটে নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হতে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময় লাগবে।
সরকারের অগ্রাধিকারের পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় চিনের তরফে ঋণ নেওয়া হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। তার সাহায্যে কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, শরিয়তপুর, মাদারিপুর, ফরিদপুরের ভাঙা, নড়াইল, মাগুরা হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার মূল লাইন-সহ ২১৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.