ফাইল ফটো
সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) বাড়ছে জেহাদিদের গতিবিধি। এবার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে আটক করা হয়েছে ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’র (আরসা) এক জঙ্গিকে। এই ঘটনায় জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন স্থানীয় প্রশাসন ও সরকার।
সোমবার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা শিবির থেকে ‘আরসা’র এক সদস্যকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এদিন উপজেলার কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকে অভিযান চালানো হয় বলে জানান ১৪ এপিবিএন-এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার মহম্মদ নাইমুল হক। ধৃত জঙ্গিরে নাম মহম্মদ ইদ্রিস (৪২) বলে জানা গিয়েছে। সে মায়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন ‘আরাকান রিপাবলিকান স্যালভেশন আর্মি’র (আরসা) কমান্ডার জুবায়ের গ্রুপের সদস্য। ইদ্রিসের বিরুদ্ধে এক সপ্তাহ আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে গুলি ছুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। সেই থেকে এপিবিএন ইদ্রিস-সহ জড়িত আরসা বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছিল।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় ময়ানমারের জঙ্গি সংগঠন আরসা। সন্ত্রাসবাদীদের হামলা ও গুলিতে গুরুতর আহত হন ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা মহম্মদ হোসেন ও নুর বশর। শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দারা অবশ্য জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের শীর্ষনেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর ক্যাম্পের ভেতরে আরসার তৎপরতা সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নানা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে আসছিলেন এই দুই রোহিঙ্গা। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত দুই মাসে বেশ কয়েক আরসা সদস্য পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। এই কারণে আরসা অনেক রোহিঙ্গাকে নিশানা করেছে।
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, মায়ানমারের জঙ্গি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি তথা আরসা-কে মদত দিচ্ছে পাকিস্তানের আইএসআই। আরসা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীটির সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টালিজেন্স ও তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির যোগ দীর্ঘদিনের। ২০১৭ সালের আগস্টে আরসা মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর পর থেকেই সেখানে সেনা অভিযান শুরু হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.