সুকুমার সরকার, ঢাকা: কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে হামলা রোহিঙ্গা (Rohingya) শরণার্থীদের। জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন এক রোহিঙ্গা শরণার্থী। আরও এক উদ্বাস্তুকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে হামলাকারীরা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, রবিবার রাতে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং ৭ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের ডি-৯ ব্লকে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এই ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এপিবিএন ১৪-র অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাইমুল হক। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আধিপত্য বিস্তারের জন্য দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী লড়াই চালাচ্ছে। অপহৃত আবু সৈয়দ ওরফে আবদুল্লা (৩৮) উখিয়ার কুতুপালং ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকের আলি আহম্মদের ছেলে। গুলিবিদ্ধ এনামুল হাসান (৩৭) ক্যাম্পটির একই ব্লকের তোফায়েল আহমদের ছেলে। আহত ব্যক্তিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্থানীয় তুর্কি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই একটি রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে মায়ানমারে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে পাকিস্তানের কুখ্যাত গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI)। একইসঙ্গে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে জেহাদের বিষ ছড়িয়ে দিচ্ছে পাক গোয়েন্দা সংস্থাটি। জানা গিয়েছে, মায়ানমারের জঙ্গি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি তথা আরসা-কে মদত দিচ্ছে পাকিস্তানের আইএসআই। আরসা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীটির সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স ও তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির যোগ দীর্ঘদিনের। ২০১৭ সালের আগস্টে আরসা মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর পর থেকেই সেখানে সেনা অভিযান শুরু হয়। যার কারণে পরবর্তীতে সাড়ে সাত লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে (Bangladesh) এসে আশ্রয় নেয়। এর আগে চার লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীর মোট সংখ্যা ১১ লক্ষ। ২০১৮ সালের মে মাসে মায়ানমারের রাখাইনে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর ওপর অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসবাদীদের ভয়াবহ নির্যাতনের কথা তুলে ধরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। মানবাধিকার সংগঠনটির প্রকাশিত এক তদন্ত প্রতিবেদনে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য এবং চিত্র-সহ প্রমাণ তুলে ধরা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.