অলংকরণ: অর্ঘ্য চৌধুরী।
সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রেমে পড়লে যে কোনও বাধাই তো আর বাধা নয়। সেটাই আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) এক যুগল। দীর্ঘদিন প্রেম-ভালবাসার পর ৫০ বছর বয়সী ঠাকুমার সঙ্গে ১৭ বছরের নাতির (Grandson) বিয়ে হয়েছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ প্রান্তের দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় হাজারিগঞ্জ ইউনিয়নে ঘটল এমনই ঘটনা। এনিয়ে এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বছর পঞ্চাশের মহিলার স্বামী দেড় বছর আগে মারা গিয়েছেন। এরপর থেকে তিনি তাঁর পুত্রের পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। সেই সুবাদে নাতির সঙ্গে মহিলার প্রেমের (Love) সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের প্রেম-ভালবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়। তা এলাকাবাসীর নজরে আসে। ঠাকুমা ও নাতি ‘অবৈধ’ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে, অভিযোগে গ্রামবাসীরা তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় পড়ে যায়।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চান। মীমাংসার জন্য দফায় দফায় সালিশি সভা বসে। কিন্তু কোনও সমাধান করতে পারেননি কেউই। পরিস্থিতি বুঝে বুধবার দুপুরে ৭ লক্ষ টাকা কাবিনে জেলা নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে কোর্ট এফিডেফিটের মাধ্যমে ঠাকুমা-নাতির বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিষয়টি নিয়ে জানান, ”দাদার (ঠাকুরদা) মৃত্যু যাওয়ার পর দাদি (ঠাকুমা) দেখাশোনা করার জন্যই স্বেচ্ছায় তাঁকে বিয়ে করেছি।” অবশ্য এই বিয়ে নাতির পরিবার লোকজন মেনে নেয়নি। নাতির বড় ভাই জানান, ”দাদিকে আমার ছোট ভাই বিয়ে করেছে, কিন্তু আমাদের পরিবার মেনে নেয়নি। তাছাড়া কোর্ট এফিডেফিটে আমার ভাইয়ের বয়স ২৩ উল্লেখ করা হলেও তার প্রকৃত বয়স ১৭।”
এ বিষয়ে সদ্য বিবাহিত ৫০ বছরে ঠাকুমা বলেন, ”আমার ঘরে দুই পুত্র ও এক কন্যাসন্তান আছে। তাদেরকে মেনে নিয়েই আমার নাতি আমাকে বিয়ে করেছে। বাকি জীবনটা নাতির সঙ্গে কাটিয়ে দিতে চাই।” শশীভূষণ থানার ওসি মিজানুর পাটোয়ারি জানান, ”ঘটনাটি শুনেছি। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। তবে থানায় কেউ কোনও অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.