Advertisement
Advertisement
তসলিমা 

সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যুতে প্রিয়ার পাশে দাঁড়ালেন তসলিমা 

বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন কমছে ৬৩২ জন সংখ্যালঘু। 

Taslima Nasrin extends support to Priya Saha on minority persecution
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 22, 2019 3:36 pm
  • Updated:July 22, 2019 7:14 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যুতে বাংলাদেশি হিন্দু নেত্রী প্রিয়া সাহার পাশে দাঁড়ালেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সদ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে চলা সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টি উত্থাপন করেছেন প্রিয়া। তারপরই তাঁকে লক্ষ্য করে নেতা-মন্ত্রীদের নিন্দাবর্ষণের পালা শুরু হয়েছে। নেটদুনিয়ায় প্রিয়ার বিরদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন অনেকেই।

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ২২টি জেলা বন্যাপ্লাবিত, ক্ষতিগ্রস্ত ৪০ লক্ষ মানুষ]

Advertisement

বেনজির বিক্ষোভের পাশাপাশি, প্রশাসনের তরফে ‘আইনি ব্যবস্থা’র হুমকির মুখে কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এহেন পরিস্থিতিতে ফেসবুকে প্রিয়ার সমর্থনে একটি পোস্ট করেন ‘লজ্জা’-র লেখিকা তসলিমা নাসরিন। নিজের ওয়ালে তিনি লেখেন, ‘ট্রাম্পকে প্রিয়া সাহা যা বলেছেন, কমই বলেছেন। খুব মাপা সময়। ভয়াবহতা বর্ণনা করার সময় তাই পাননি।’

এই ‘লজ্জা’ উপন্যাসের জন্যই মৌলবাদীদের রোষে পড়ে দেশ ছাড়তে হয়েছিল তসলিমাকে। প্রিয়ার বক্তব্যকে সমর্থন করে ফেসবুকে লি‌খেছেন গণ আন্দোলন মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারও। সরকারি তথ্য দিয়ে তিনি দেখিয়েছেন, ট্রাম্পকে দেওয়া প্রিয়ার পরিসংখ্যান আদৌ ভুল নয়। ইমরান লিখেছেন, ‘প্রিয়া সাহার বক্তব্য ভুল প্রমাণিত করার জন্য তিনি দেশে ফেরার আগেই সব সাম্প্রদায়িক দেশদ্রোহীকে কঠোর শাস্তি দিয়ে প্রমাণ করা হোক, বাংলাদেশ বাস্তবেও একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ।’

এর মধ্যেই ইউটিউবে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন প্রিয়া সাহা। তাঁর দাবি, সরকারি পরিসংখ্যানই তিনি তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেছেন। ১৯৪৭-এ ভারত ভাগের সময়ে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ছিল জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ। এখনকার বাংলাদেশে তা কমে ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০১১-র একটি গবেষণার রিপোর্ট বলছে, বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন ৬৩২ জন করে সংখ্যালঘু কমে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই উল্লেখ্য, ট্রাম্পের সঙ্গে প্রিয়া ছাড়াও মায়ানমার, নিউজিল্যান্ড, ইয়েমেন, চিন, কিউবা, দক্ষিণ উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইরিট্রিয়া, নাইজেরিয়া,সুদান এবং তুরস্ক, ভিয়েতনাম, ইরাক, আফগানিস্তান, উত্তর কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ইরান, জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিরাও দেখা করেন।  

[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement