Advertisement
Advertisement

Breaking News

ধর্ষণ বিরোধী মিছিল

ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় ধৃত বৃদ্ধ, সচেতনতা প্রসারে ঢাকায় গণপদযাত্রা শিক্ষার্থী জোটের

সম্প্রতি ধামারাইয়ে ঘটে গিয়েছে নির্ভয়াকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি।

Students organised mega rally for awarness of rape increasing in Bangladesh
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 12, 2020 4:05 pm
  • Updated:January 12, 2020 4:50 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: দেশজুড়ে বেড়েই চলেছে নারীদের উপর যৌন অত্যাচারের ঘটনা। সম্প্রতিই নির্ভয়াকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে বাংলাদেশের ধামারাইয়ে। এক তরুণী শ্রমিককে বাসের মধ্যে ধর্ষণের পর হত্যা করে ফেলে দেওয়া হয় জঙ্গলে। পিরোজপুরেও পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বৃদ্ধ। লাগাতার এসব ঘটনার জেরে সামাজিক সচেতনতা তৈরি করতে এবং ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাজধানী ঢাকায় ধর্ষণ বিরোধী ‘গণপদযাত্রা’য় শামিল যৌন নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থী জোট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষিত ছাত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে শনিবারও বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মিছিল করেন ছাত্রছাত্রীরা।

পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত বছর সত্তরের ফিরোজ তালুকদার। পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেলে ফিরোজ তালুকদার তার প্রতিবেশী পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তখন ওই স্কুলছাত্রী ভয়ে চিৎকার শুরু করলে এলাকাবাসী ছুটে আসেন। অভিযুক্ত ফিরোজ তালুকদার পালিয়ে যায়। ওই ছাত্রীর মা শনিবার রাতে ইন্দুরকানি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। পুলিশ রাতেই ফিরোজ তালুকদারকে গ্রেপ্তার করে। ইন্দুরকানি থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, ধৃতকে পিরোজপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: লক্ষ্য ভারতে নাশকতা, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে JMB]

এদিকে, রাজধানী ঢাকার রামপুরায় কর্মজীবী দুই তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এই ঘটনায় তারা পৃথক মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত বাবুর্চি জি এম আলম ভুঁইয়াকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী দু’জনকে পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি)। রামপুরা থানার ওসি আবদুল কুদ্দুছ ফকির বলেন, শুক্রবার রাতে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই দুই তরুণীকে ধর্ষণে জড়িত জি এম আলম ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

রামপুরা থানা পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা যায়, রামপুরার একটি মেসে থাকেন ওই দুই তরুণী। জি এম আলম মূল মালিকের কাছ থেকে বাড়িটি ভাড়া নিয়ে ওই মেসটি পরিচালনা করে আসছিল। পাশাপাশি সে বাবুর্চি হিসেবে কাজ করে। ভুক্তভোগী তরুণীদের একজন একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরে এবং অন্যজন একটি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। প্রতিদিন খাবার খেতে তারা বাবুর্চির ঘরে যেতেন। এই সুযোগে আলম বৃহস্পতিবার ১৯ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণ করে। তিনি মেসে ফিরে ১৮ বছরের অন্য তরুণীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে জানতে পারেন, ওই তরুণীও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

[আরও পড়ুন: CAA ও NRC নিয়ে বিক্ষোভের জের, সফর বাতিল বাংলাদেশের আরও এক মন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement