Advertisement
Advertisement
Bangladesh

সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি জারি বাংলাদেশে, স্বাক্ষর প্রধানমন্ত্রী হাসিনার

এই ছাত্র আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে বড় প্রভাব পড়েছে।

Statement on cancelling reservation in Bangladesh is issued

প্রতীকী ছবি।

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:July 24, 2024 5:48 pm
  • Updated:July 24, 2024 5:48 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসরণ করে অবশেষে বাংলাদেশে সমস্ত চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। সোমবার রাতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির অনুমোদন দিয়েছিলেন। এর পর মঙ্গলবার দুপুরে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়।

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘‘সরকার সর্বোচ্চ আদালতের রায় মেনে নিয়েছে। এই রায়ের কোনও কিছুই পরিবর্তনের ক্ষমতা আমাদের হাতে নেই। রায় অমান্য করারও কোনও ইচ্ছা নেই আমাদের।’’ দেশের যোগাযোগ মন্ত্রকের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সমস্ত সরকারি, আধা-সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে নবম থেকে বিংশতম গ্রেড পর্যন্ত সমস্ত পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে এই নতুন সংরক্ষণ ব্যবস্থা কার্যকর হবে।

Advertisement

স্বাভাবিকভাবেই এই ছাত্র আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে বড় প্রভাব পড়েছে। শিল্প-কারখানাগুলো সরকারি নির্দেশে বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশের রপ্তানিকারী ও ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলো বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ব্যবসায়ী-সহ দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “জামাত-শিবির তো জঙ্গি সংগঠন। আর বিএনপির চেহারা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ছাত্র আন্দোলনে ঢুকে এরাই হিংসা ছড়িয়েছে। এদের এত সহজে ছাড় দেওয়া হবে না।”

[আরও পড়ুন: সেরে উঠছে বাংলাদেশ! শিথিল হচ্ছে কারফিউ, স্বাভাবিক টেলিকম ব্যবস্থা

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের বিষয়টি নিয়ে হাসিনা বলেন, “২০১৩ থেকে ১৫ সালের সেই অগ্নিসন্ত্রাস কেউ ভুলে যায়নি। হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ তখন নষ্ট হয়েছে। এবার ছেলেমেয়েরা কোটা চায় না তাই আমি বাতিল করে দিয়েছি। মুক্তিযোদ্ধারা মামলা করেছে বলে সেটি পুনর্বহাল হয়েছে। আমরা এর বিরুদ্ধে আপিল করেছিলাম। আমি বলেছি যে, কেউ হতাশ হবেন না। তার পরও তারা সারা বাংলাদেশ অচল করে রেখেছে। তার পরও তাদের কেউ কিছু বলেনি। ২০০৭-০৮-এর বাংলাদেশের দিকে তাকান, ভেবে দেখুন তখন ব্যবসায়ীদের কী অবস্থা ছিল। কেউ ছিল জেলে আর কেউ ছিল বিতাড়িত। সেই অবস্থা থেকে দেশটাকে আমরা ফিরিয়ে এনেছি। রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাংলাদেশকে আমরা একটা ভালো অবস্থানে নিয়ে এসেছি। আজকে মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, পণ্যের বিশাল বাজার সৃষ্টি হয়েছে, বিদেশে রপ্তানির জন্য বাজার উন্মুক্ত করা হয়েছে, ডিজিটাল সিস্টেমের ফলে ব্যবসাবাণিজ্য সহজ হয়েছে। আওয়ামি লিগ সরকার আসার আগে এসবের কিছুই ছিল না। এগুলো আমি করে দিয়েছি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান যতদিন দেশ চালিয়েছে রোজই কারফিউ ছিল।”

[আরও পড়ুন: ‘ছাত্রদের ঢাল করে দেশের ক্ষতি করছে বিরোধীরা’, আন্দোলন রুখতে কী পদক্ষেপ? জানালেন হাসিনা

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement