সুকুমার সরকার, ঢাকা: ইদে উৎসব উদযাপন হয়েছিল। কিন্তু আনন্দ করে ইদের ছুটি কাটিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না। বাংলাদেশের ফরিদপুরে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। মঙ্গলবার সকালের এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের পাঁচজনের। ফরিদপুরের জেলা শাসক মহম্মদ কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, নিহতদের পরিবারকে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার এবং আহতদের পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়। পাশাপাশি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরে মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ ও আহতের তিন লক্ষ টাকা দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্তের জন্য সাত সদস্যের একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিন ফরিদপুরের কানাইপুরের কাছে একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে পিক আপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়। এই দুর্ঘটনায় ফরিদপুরের বোয়ালমারীর বেজিডাঙ্গা গ্রামের রফিক মোল্লা (৩৫), তাঁর স্ত্রী সুমি বেগম (২৩), দুই ছেলে রুহান (৬), হাবিব (৩) ও বৃদ্ধা মা প্রাণ হারান। রফিক ঢাকায় একটি সরকারি অফিসে লিফটম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ইদের ছুটি শেষ করে তিনি মা, স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে পিকআপ ভ্যানে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এই ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী কানাইপুরের দিগনগর গ্রামের বাসিন্দা সাহানা বেগম বলেন, ওই রাস্তায় আসার পর বাসটির একটি চাকা রাস্তার গর্তে পড়ে যায়। বাসটি আড়াআড়িভাবে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে ছিল। সেসময় পিকআপ ভ্যানটি বাসটির মাঝামাঝি এসে ধাক্কা মারে।
এই সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১১ জনের। দুর্ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে ২ জনের মৃত্যু হয়। বাকিদের চিকিৎসা চলছিল। এর মাঝেই আরও ৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলল। ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ওসি সালাউদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, “নিহতরা পিক আপ ভ্যানের যাত্রী ছিলেন। এই দুর্ঘটনার পর ফরিদপুর-করিমপুর হাইওয়েতে যান চলাচলও সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.