Advertisement
Advertisement
Bangladesh

দিল্লির শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের ছায়া বাংলাদেশে, শিশু অপহরণের পর খুন, মাথা-দেহাংশ টুকরো করল দুষ্কৃতী

মাথা খণ্ডিত করে দেহ ৬ টুকরো করে সাগরে ভাসানোর পর গ্রেপ্তার যুবক।

Shraddha Walker incident at Bangladesh, child killed and body cut in pieces | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 1, 2022 6:46 pm
  • Updated:December 1, 2022 6:53 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: দিল্লির (Delhi) মেহেরৌলিতে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করে ছড়িয়েছিল তাঁর প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। দিল্লিরই পাণ্ডবনগরের বাসিন্দা অঞ্জন দাসকে শুধুমাত্র পরকীয়া সন্দেহে খুন হতে হয় স্ত্রী ও ছেলের হাতে। তাঁর দেহও বেশ কয়েকটি টুকরো ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। দুটি ক্ষেত্রেই পুলিশের জালে অপরাধীরা। এবার একই কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটল বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টলায়। ছ’ বছরের শিশু আয়াতকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।

গত ১৫ নভেম্বর চট্টলার (Chattola) ইপিজেড থানার বন্দরটিলা ওয়াজ মুন্সিবাড়ি এলাকার সোহেল রানার মেয়ে আয়াত বাসার পাশে এক টিউশনে বিকেলে পড়তে যায়। সন্ধের পরও ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন, আয়াত সেখানে যায়নি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেয়েকে না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে ইপিজেড থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা জানান, আবির মিঞা নামে চট্টলার এক বাসিন্দাকে আটক করা হয়। তার বয়স ১৯ বছর। আবির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, সাত লক্ষ টাকা মুক্তিপণ (Ransom) আদায়ের জন্য শিশু আয়াতকে অপহরণ করেছিল। কিন্তু তার মুঠোফোনের সিম কাজ না করায় মুক্তিপণের জন্য শিশুটির পরিবারকে ফোন করে টাকা চাইতে পারেনি। ধরা পড়ার ভয়ে আয়াতকে খুন করে। কেটে দেহ ছ’ টুকরো করে। পরে তা সাগরে ভাসিয়ে দেয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: SSC মামলা: তদন্তে অসহযোগিতা সুবীরেশের, ভিনরাজ্যে নিয়ে গিয়ে জেরার অনুমতি দেবে হাই কোর্ট?]

আয়াতের দেহের ছ’ টুকরো পর তার খণ্ডিত মাথাও উদ্ধার করেছে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (PBI)। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর ইপিজেড থানার আকমল আলি রোডের শেষপ্রান্তে নালা সংলগ্ন স্লুইচগেট এলাকা থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়েছে। স্লুইচগেটে আটকে থাকা জলের মধ্যে জমা পলিথিনে তল্লাশি করে মাথাটি পাওয়া গেছে।

জেরার মুখে আবির আরও জানায়, সত্যিকারের অপরাধের ঘটনা নিয়ে তৈরি টিভি ধারাবাহিক ‘ক্রাইম পেট্রল’ দেখে সে এমন পরিকল্পনা করেছিল। হত্যার জন্য আবির যে দোকান থেকে দা–ছুরি কিনেছিল, সেই দোকানদারকে শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাঁকে শনাক্ত করা হয়। আবিরকে সহায়তাকারী দোকানদার মো. হাসিবকে আটক করা হয়েছে। আবিরের বাবা ভ্যানচালক এবং তার মা পোশাক কারখানার শ্রমিক। আবির নিজে বেকার। ঘটনার দিন বিকেলে আবির তার বাড়িওয়ালার মেয়ে শিশু আয়াতকে অপহরণ করে। অন্য জায়গায় নিয়ে গেলে ভয়ে আয়াত চিৎকার করলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘাতক আবির। পরে মরদেহ আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরো করে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর হাতে গ্রেপ্তারের পর কাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে দায় স্বীকার করেছে আবির।

[আরও পড়ুন: রাজকোষ ঘাটতি ছুঁয়েছে ৭.৫৮ লক্ষ কোটি! নয়া তথ্যে বাড়ছে আশঙ্কা]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement