ফাইল ছবি
সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ঢাকায় আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জুন মাসের শেষে তাঁর এদেশে পা রাখার কথা রয়েছে। ৯ জুন, রবিবার রেকর্ড গড়ে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নিয়েছেন মোদি। দিল্লিতে তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাসিনা। আগামী জুলাই মাসে তাঁর চিন সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, তার আগেই বাংলাদেশে আসছেন মোদি। বিশ্লেষকদের মতে, ‘বন্ধু’ দেশে চিনের প্রভাব বিস্তার করা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ২০১৫ ও ২০২১ সালের পর এটাই হবে নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় বাংলাদেশ সফর। অন্যদিকে, তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এবার তিনি প্রথমেই ইটালি যাবেন। ইটালির ফাসানোতে পশ্চিমা সাত শক্তির রাজনৈতিক জোট জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন আগামী ১৩ থেকে ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনে যোগ দিতেই ইটালি মোদি। গত দুবারের মেয়াদে তিনি আমেরিকা ও ইউরোপের সঙ্গে যে সম্পর্ক তৈরি করেছেন, এবার তা আরও মজবুত করতে চান তিনি।
উল্লেখ্য, প্রথমবার একসঙ্গে সামরিক মহড়া করতে চলেছে চিন ও বাংলাদেশ। এবার সামরিক ক্ষেত্রেও ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে উদ্যোগী হয়েছে বেজিং। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে ঢাকায় আনাগোনা বেড়েছে চিনা আধিকারিকদের। ফলে বন্ধুদেশের উপর কতটা প্রভাব বিস্তার করছে ‘ড্রাগন’ সেদিকেই তীক্ষ্ণ নজর রাখছে নয়াদিল্লি। এই আবহে মোদির এই বাংলাদেশ সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মত কূটনীতিকদের।
বলে রাখা ভালো, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক বরাবর অত্যন্ত সুন্দর। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিল, সেকথা বারবার স্মরণ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মুজিবকন্যা হাসিনা। আর মোদির সঙ্গেও তাঁর সুসম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। তাই নমোর এই সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে গত বুধবার শুভেচ্ছা জানান হাসিনা। তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে বার্তা পাঠান মোদিও। এর পর ফোনে কথা বলেন দুজনে। সেসময়ই হাসিনাকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানান নমো। পাশাপাশি আগামিদিনে দুদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করার বার্তা দেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.