সুকুমার সরকার, ঢাকা: ২০০৪-এর ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়৷ এই হামলার মূল পরিকল্পনা হয় পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে। এই পরিকল্পনা করে জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন। সংগঠনটি বাংলাদেশের তৎকালীন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও দলের নেতা-কর্মী, প্রশাসনিক প্রধানের উপরে হামলার ষড়যন্ত্র করে৷ ওই হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেড সরবরাহ করে সংগঠনটির শীর্ষ নেতা আবদুল মজিদ ওরফে আবদুল মাজেট ভাট ওরফে ইউসুফ ভাট। গোপন জবানবন্দিতে এই তথ্য প্রকাশ করেছেন হামলার অন্যতম অভিযুক্ত মৌলানা শেখ আবদুস সালাম৷
[এবার মাদক পাচারে মৃত্যুদণ্ড, নয়া আইন আনতে চলেছে বাংলাদেশ]
আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন হরকত-উল-জেহাদ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মৌলানা সালামের গ্রামের বাড়ি বগুড়া জেলার ধুনট থানার পেচিবাড়ী গ্রামে। ভারতের পড়াশোনা করে পাকিস্তান যায় সে। আফগানিস্তানে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয় মৌলানা সালাম। পরে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে সক্রিয় বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে যাতায়াতের সময় কখনও পাকিস্তানি পাসপোর্ট, আবার কখনো বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করত মৌলানা সালাম। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০০৯-এর ১ নভেম্বর গ্রেপ্তার হয় সে। ওই বছরেরই ৩ ডিসেম্বর আদালতে জবানবন্দি দেয়।
[শেষ বিচারপ্রক্রিয়া, হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা মামলায় রায় ঘোষণা বুধবার]
জবানবন্দিতে মৌলানা সালাম জানায়, ১৯৮৫-তে প্রথমবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে আফগান যুদ্ধে অংশ নেই সে। একে-৪৭ রাইফেল-সহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র চালনায় প্রশিক্ষণ নেয়। ১৯৮৯-তে বাংলাদেশে ফেরে। হরকত-উল-জেহাদ প্রতিষ্ঠা করে। বাংলাদেশে ইসলামি শাসনতন্ত্র কায়েম এবং মুসলিমদের মুক্তি সংগ্রামে সহায়তা করাই এই সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। ১৯৯৬-তে আওয়ামি লিগ ক্ষমতায় আসলে লালখান বাজার (চট্টগ্রাম) মাদ্রাসা থেকে মৌলানা সালামের সমর্থণকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.