সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটি ভুল সিদ্ধান্ত জীবনের গতিপথ কতটা পালটে দিতে পারে তা এখন হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছে ‘জেহাদি বধূ’ শামিমা বেগম৷ ইসলামিক স্টেটে যোগ দিয়ে আজ নিজের দেশের কাছেই ব্রাত্য শামিমা৷ অথচ মোহভঙ্গের পর দেশেই ফিরতে চায় ওই ব্রিটিশ তরুণী৷ কিন্তু সভ্য সমাজ আইএস-এর ছোঁয়াচ এড়াতে দরজা বন্ধ করেছে শামিমার জন্য৷ এমনই পরিস্থতিতে শামিমাকে নিয়ে নেদারল্যান্ডস যেতে চায় তার স্বামী ইয়াগ রিডাইক৷ আপাতত সিরিয়ার একটি কুর্দিশ বন্দিশিবিরে রয়েছে ইয়াগ৷
[রোহিঙ্গাদের পাশে চিন, বাংলাদেশের প্রস্তাব মেনে ‘সেফ জোন’ তৈরিতে সায়]
নেদারল্যান্ডস-এর একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে ইয়াগ৷ ২০১৪ সালে ইসলাম গ্রহণ করে সিরিয়ায় এসে আইএসে যোগ দেয় সে৷ বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডাচ নগরিক ইয়াগ জানিয়েছে, ২০১৫ সালেই শামিমার সঙ্গে বিয়ে হয় তার৷ সিরিয়ার আইএস নিয়ন্ত্রিত বাঘোজে শহরে প্রথম দেখা হয় তাদের৷ তারপর স্বেচ্ছায় তার সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয় ওই ব্রিটিশ তরুণী৷ নিজের সমর্থনে ইয়াগ দাবি করে, শেষের দিকে আইএস ছেড়ে পালাতে চাইছিল সে৷ তারপর ডাচ চর সন্দেহে তাকে রাকায় বন্দি করে জঙ্গিরা৷ শেষমেশ কুর্দিশ যোদ্ধাদের কছে হেরে গিয়ে ওই শহর ত্যাগ করে আইএস৷ মওকা বুঝে আত্মসমর্পণ করে সে৷ আপাতত সিরিয়ার একটি কুর্দিশ বন্দিশিবিরে রয়েছে ইয়াগ৷ পাশাপাশি ইরাক সীমান্তে আল-রজ শরণার্থী শিবিরে রয়েছে শামিমা৷ জানা গিয়েছে, এখনও ইয়াগ-র নাগরিকত্ব বাতিল করেনি নেদারল্যান্ডস৷ তবে আইনি বিশেষজ্ঞদের মতে দেশে ফিরে গেলে ছয় বছরের কারাদণ্ড হতে পারে ওই প্রাক্তন আইএস জঙ্গির৷ তবুও শামিমা ও তাদের শিশুপুত্রকে নিয়ে দেশে ফিরতে চায় ইয়াগ৷
আর্থিক অনটন দূর করতে ব্রিটেনে পাড়ি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের এক দম্পতি। সেখানে বাবা,মাকে লুকিয়ে ব্রিটেনের বাড়ি থেকে পালিয়ে তুরস্কের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় ওই দম্পতির সন্তান। নাম শামিমা বেগম। তার সঙ্গী ছিলেন দুই বান্ধবী আমিরা আবাসি ও খাদিজা সুলতানা। সেখানে এক ডাচকে বিয়ে করেন শামিমা। এরপর দুই সন্তানের মৃত্যু ও বিভিন্ন চড়াই উতরাই পেরিয়ে ফের পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন শামিমা। তবে সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন শামিমা ও তার পরিবার। ফের ব্রিটেনে ফিরতে চান ঘর ছেড়ে আইএসে যোগ দেওয়া তরুণী। তবে সেই আবেদন নাকচ করেছে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শামিমাকে জায়গা দিতে নারাজ বাংলাদেশও৷
[বাংলাদেশ পৌঁছালেন নয়া ভারতীয় হাই কমিশনার রিভা গঙ্গোপাধ্যায় দাস]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.