সুকুমার সরকার, ঢাকা: ব্রিটেনে ফেরার অনুমতি পেল না ইসলামিক স্টেটের ‘জেহাদি বধূ’ শামিমা বেগম (Shamima Begum)। তার নাগরিকত্ব খারিজ সংক্রান্ত একটি মামলায় শুক্রবার এই রায় দিয়েছে ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে ব্রিটেন থেকে পালিয়ে সিরিয়া চলে যায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামিমা। সেখানে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটে যোগ দেয় ওই স্কুলছাত্রী। ওই দেশেই এক জঙ্গিকে বিয়ে করে শামিমা। তাদের তিনটি সন্তান হলেও তারা আর বেঁচে নেই। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই জেহাদি বধূর নাগরিকত্ব খারিজ করে দেয় ব্রিটিশ সরকার। বাংলাদেশও সাফ জানিয়ে দেয়, সেখানে ফিরলেই গ্রেপ্তার করা হবে শামিমাকে। বর্তমানে, উত্তর সিরিয়ায় বিদ্রোহী ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট’-এর নিয়ন্ত্রণাধীন একটি বন্দিশিবিরে দিন কাটাচ্ছে শামিমা। তার স্বামী সিরিয়ার একটি কারাগারে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
২১ বছর বয়সী শামিমার দাবি, ব্রিটিশ সরকারের বেআইনি সিদ্ধান্তে সে রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েছে এবং তার মৃত্যুর ঝুঁকি আছে। তার আইনজীবীদের যুক্তি, শুনানিতে অবাধে অংশ নিতে না পারলে শামিমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব স্বয়ংক্রিয়ভাবে বহাল হয়ে যাবে। বলে রাখা ভাল, ২০১৯ সাল থেকে ব্রিটেনে ফেরার চেষ্টা করছে শামিমা। তবে দেশটির সরকার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তার নাগরিকত্ব বাতিল করে দিয়েছে। এরপর বিষয়টি আদালতে গড়ায়।
২০২০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শামিমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্তকে বৈধ বলে রায় দেয় সেদেশের একটি আদালত। বিচারক জানিয়েছিলেন, ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল হলেও শামিমা বেগম রাষ্ট্রহীন হয়ে যায়নি। সে ‘বাংলাদেশের নাগরিক’। তাই বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দাবি করতে পারে সে। তবে শামীমা বেগমের বিষয়ে বাংলাদেশের কিছুই করার নেই বলে ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, শামিমা ব্রিটেনের নাগরিক। সে কখনও বাংলাদেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেনি। কাজেই তাকে নিয়ে বাংলাদেশের কিছু করার নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.