সুকুমার সরকার, ঢাকা: বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন ঘিরে কড়া নিরাপত্তা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে শুরু হয়েছে বিশেষ নজরদারি। যে কোনও নাশকতা বা অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা বিফল করতে তৎপর পুলিশ ও প্রশাসন।
ক্রিসমাস বা বড়দিন উপলক্ষে সেজে উঠেছে ঢাকা। তারমধ্যে আজ অর্থাৎ শুক্রবার থেকেই রাজধানীতে শুরু হচ্ছে আওয়ামি লিগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন। সব মিলিয়ে সাজ সাজ রব দেশের ব্যস্ততম শহরটিতে। এহেন পরিস্থিতিতে নাশকতা ঘটানোর জন্য তৎপর হতে পারে সন্ত্রাসবাদীরা বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে গোয়েন্দা রিপোর্টেও মিলেছিল এহেন ইঙ্গিত। ফলে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে রাজধানীর নিরাপত্তা আরও জোরদার করে তুলেছে প্রশাসন। এই মর্মে, বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদর দপ্তরে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্যাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা সংক্রান্ত এক বৈঠক হয়। ডিএমপি কমিশনার মহম্মদ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি গির্জায় সাদা পোশাকের পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি চার্চে মূল দরজা দিয়ে দর্শনার্থীদের ঢুকতে হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও প্রবেশের আগে শরীর তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থলে ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হবে। নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা। গির্জার এলাকাগুলিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা থাকবে। গির্জার আশপাশে কোনও দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোনও প্রকার ব্যাগ, ট্রলিব্যাগ ও ব্যাকপ্যাক নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।
এদিকে, বর্ষশেষের রাতে উন্মুক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদে কোনও গানবাজনা করা ও আতশবাজি ফোটানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যে কোনও ধরনের ডিজে পার্টি নিষিদ্ধ থাকবে। ৩১ ডিসেম্বরের রাতে পরিচয়পত্র ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। গাড়ি প্রবেশের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার জন্য শাহবাগ ও নীলক্ষেত এলাকা ব্যবহার করতে হবে। সব মিলিয়ে অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর রয়েছে পুলিশ বাহিনী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.