Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh

করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে মার্চেই খুলছে বাংলাদেশের স্কুলগুলি, মানতে হবে বেশ কিছু শর্ত

প্রায় এক বছর ধরে বাংলাদেশে বন্ধ স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

Schools in Bangladesh will open from March 30 with some conditions after corona and lockdown|SangbadPratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 28, 2021 6:18 pm
  • Updated:February 28, 2021 6:18 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: অবশেষে সুখবর। করোনা (Coronavirus) মহামারীর কারণে প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ থাকার পর মার্চ থেকে খুলে যাচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh) স্কুল-কলেজগুলি। আগামী ৩০ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে স্কুল খুললেও আপাতত প্রতিদিন ক্লাসে যেতে হবে না শিক্ষার্থীদের। রবিবার ঢাকায় সচিবালয়ে আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি জানান, দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩০ মার্চ খুলে দেওয়া হবে। তবে সব শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাবেনা। আর প্রাক-প্রাথমিক সম্পর্কে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বাংলাদেশে গত বছর ১৭ মার্চ থেকে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো।

পরে কওমি মাদ্রাসাগুলো খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার অনুমতি দেয়নি সরকার। তবে এরই মধ্যে বাতিল হয়ে গিয়েছে ২০২০ সালের জেএসসি ও সমমান এবং উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা। এছাড়া কোনও শ্রেণিতে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। সব শিক্ষার্থীকে ‘অটোপাস’ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মুকুটে নয়া পালক, উন্নয়নশীল দেশের তকমা পেল বাংলাদেশ]

এদিকে, সম্প্রতি কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর ঈদ-উল-ফিতরের ছুটির পর ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাসে পড়াশোনা শুরু হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এর এক সপ্তাহ আগে অর্থাৎ ১৭ মে থেকে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ”বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে প্রায় এক লাখ ত্রিশ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে। ১৭ মে হল খোলার আগেই তাদের টিকা দিতে পারব বলে আশা করছি আমরা।”

শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা এবং উচ্চমাধ্যমিকে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদেরকে শুরুতে প্রতিদিন আনা হবে। আর বাকি ক্লাসগুলোতে হয়তো শুরুতে একদিন করে প্রথমে আসবে এবং কয়েকদিন পর থেকে দু’দিন করে আসবে।পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিকের দিকে নিয়ে আসবো। এর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আগে শিক্ষক কর্মচারীদের টিকা দেয়ার কাজ আশা করি শেষ করতে পারব।মন্ত্রী আরও জানান, মাধ্যমিক (এসএসসি)-র জন্য ৬০ কর্ম দিবসের ও উচ্চমাধ্যমিকের জন্য ৮০ কর্ম দিবসের সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। তাদের সে অনুযায়ী ক্লাস করাতে সপ্তাহে ৬ দিন ক্লাসে আনার চেষ্টা হবে। অন্যদিকে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক ভাবে একদিন করে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসবে এবং করোনা পরিস্থিতি দেখে পরে ক্রমান্বয়ে সেটি বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।তিনি বলেন, এবার রোজার ছুটি পুরো রোজায় থাকবেনা। আগেও ঈদের সময় শুধু ছুটি থাকতো এবং এবারও তাই হবে। শুধু ঈদের সময় কয়েকদিন ছুটি থাকবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement