Advertisement
Advertisement
Bangladesh

কাটছে না করোনা আতঙ্ক, বাংলাদেশে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধই স্কুল-সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে স্কুল বন্ধের সময়সীমা বাড়ানোর ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর।

Schools and other educational institutions in Bangladesh will remain close till November 14| Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 29, 2020 2:04 pm
  • Updated:October 29, 2020 2:06 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি নেই। এই অবস্থায় নভেম্বরেও বাংলাদেশে (Bangladesh) স্কুল খোলায় ছাড় মিলল না। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল হাসিনা সরকার। বৃহস্পতিবার ভারচুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, ধাপে ধাপে স্কুল খোলার কথা ভাবা হলেও, এই অবস্থায় সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে না। আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধই থাকছে স্কুল-সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

করোনা সংক্রমণের (Coronavirrus) জেরে গত ১৭ তারিখ থেকে বন্ধ বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। লকডাউনের জেরে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে দফায় দফায় তা বন্ধ রাখার মেয়াদ বাড়ছিল। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে জানানো হয় যে ৩১ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে, প্রাথমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের স্কুল, কলেজ। সেই মেয়াদ শেষের আগে বৃহস্পতিবারই জানিয়ে দেওয়া হল, স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হল ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আত্মরক্ষায় শক্তিশালী সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠায় জোর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনার]

এই মুহূর্তে বাংলাদেশে স্কুলস্তরে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় চার কোটি। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় এ বছর সমস্ত পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। পরীক্ষা ছাড়াই পড়ুয়াদের পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অনলাইন ক্লাসে জোর দেওয়া হলেও, বহু স্কুলপড়ুয়ার পক্ষে তা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে তারা পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে পর্যবেক্ষণ সে দেশের শিক্ষামহলের একাংশের।

[আরও পড়ুন: সুদের টাকা ফেরত না পেয়ে ঋণগ্রহীতার স্ত্রীকে তুলে নিয়ে বিয়ে! শোরগোল বাংলাদেশের মাগুরায়]

এদিকে, পরীক্ষা বাতিল, স্কুল বন্ধের সময়সীমা দফায় দফায় বাড়তে থাকায় অ্যাকাডেমিক সেশন (Academic session) নিয়ে জট বাড়ছে। পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ কবে থেকে চালু করা যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন শিক্ষক এবং পড়ুয়াদের। সেই অনুযায়ী তাঁরা সকলে প্রস্তুতি নিতে পারবেন। কিন্তু বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ স্বস্তি দিচ্ছে না। ফলে স্কুল বা অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তই সেভাবে নেওয়া যাচ্ছে না। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে প্রবেশিকা পরীক্ষা বা সরাসরি ফলাফলের মূল্যায়ণ করে পড়ুয়াদের ভরতি নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। ফলে উচ্চশিক্ষার্থীদের তেমন সমস্যা নেই। অনিশ্চয়তা বেশি স্কুলপড়ুয়াদেরই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement