সুকুমার সরকার, ঢাকা: স্কুলে ডেকে বাবা-মাকে হেনস্থা। অপমানে আত্মঘাতী ছাত্রী। অগ্নিগর্ভ ঢাকা। ঘটনাটিকে হৃদয়বিদারক বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশের হাই কোর্ট। মঙ্গলবার সুবিচারের দাবিতে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখায় আত্মঘাতী স্কুলছাত্রীর সহপাঠীরা। অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী।
[ আড়াই বছর পর শুরু গুলশান হামলার সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া]
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বেইলি রোড অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত। সেখানকার ভিকারুনসিরা নুন স্কুলের ছাত্রী বছর পনেরোর অরিত্রী অধিকারী। জানা গিয়েছে, পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় ওই কিশোরী। সোমবার তার বাবা-মাকে স্কুলে ডেকে পাঠান ভাইস প্রিন্সিপাল। অরিত্রী অধিকারীদের বাবা-মায়ের দাবি, ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে মেয়ের হয়ে ক্ষমা চান তাঁরা। তাকে টিসি না দেওয়ার অনুরোধ করেন। এমনকী, অরিত্রী নিজেও স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপালের পা ধরে কান্নাকাটি করে। কিন্তু, তাতেও মন গলেনি ভিকারুনসিরা নুন স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপালের। উলটে ওই ছাত্রী ও তার বাবা-মাকে স্কুল থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন তিনি। চোখের সামনে বাবা-মায়ের অপমান সহ্য করতে পারেনি ওই কিশোরী। বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা করে সে।
ঘটনাটি জানাজানিতে হতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ঢাকা। মঙ্গলবার ভিকারুনসিরা নুন স্কুলে যান বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। স্কুলের পড়ুয়া ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ‘আমি ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। একজন শিক্ষার্থী কতটা অপমানিত হলে, কতটা কষ্ট পেলে আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নেয়? কেউ অপরাধী হলে অবশ্যই শাস্তি পাবে।’ সুবিচারের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি আটকে প্রায় মিনিট কু়ড়ি বিক্ষোভ দেখান অরিত্রীর সহপাঠীরা। ওই স্কুলের মূল শাখার প্রধান জিন্নাত আরাকে শো-কজ করেছে পরিচালনা কমিটি। সাতদিনের মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখার জন্য তিন সদস্যের কমিটি গড়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
[ প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে সংগ্রাম মায়ের, একটি ছবিই পালটে দিল জীবন]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.