সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। কিন্তু সেই আতিথেয়তার সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসবাদ থেকে মাদকপাচারে জড়িয়েছে শরণার্থীদের একাংশ। জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তারা। এবকর এই সমস্যার সমাধানে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের মায়ানমার বিষয়ক নতুন দূত নুয়েলিল হেইজারের সঙ্গে ভারচুয়াল আলোচনায় বসেন পররাষ্ট্র সচিব মোমেন। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বিকেলে তাঁদের মধ্যে ওই আলোচনা হয়। রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন রাষ্ট্রসংঘের কার্যকর ভূমিকা দাবি করেছেন। মায়ানমারের নিজেদের বাসস্থানে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার বিষয়টিতে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন বিদেশ সচিব। এই প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের প্রত্যাশার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি তুলে ধরেন।
রোহিঙ্গা সংকটের পাঁচ বছরের মাথায় এসেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় পররাষ্ট্রসচিব হতাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “মায়ানমারের বাস্তুচ্যুত ১০ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে গিয়ে নানা রকম চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান মানব ও মাদক পাচারের মতো নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করেছে। নিরাপত্তাঝুঁকির এই প্রভাব পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে।”
বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ময়ানমারে ফিরে যাওয়ার জন্য রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ দূতের দপ্তরের কাজ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিশেষ দূতের এ ধরনের কাজ এবং এই অঞ্চলে কাজের অভিজ্ঞতা সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক অগ্রগতি আনতে পারে। প্রসঙ্গত, মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িয়েছে রোহিঙ্গারা। শরণার্থী শিবিরে বসে তোলাবাজি-ডাকাতি, অস্ত্র ব্যবসা, কিশোরী-তরুণীদের দিয়ে হোটেলে নিয়ে দেহব্যবসা ও বিদেশে পাচার থেকে হেন কোনও অপকর্ম বাদ নেই তাদের। এদের জ্বালায় অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দারাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.