Advertisement
Advertisement
রোহিঙ্গা

বাংলাদেশি সেজে গোপনে পড়াশোনা, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত রোহিঙ্গা তরুণী

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Rohingya teen gets enrolled in Bangladesh University, thrown out
Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 9, 2019 5:30 pm
  • Updated:September 9, 2019 5:30 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশি সেজে গোপনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিলেন রোহিঙ্গা তরুণী।  তবে শেষরক্ষা হল না। আচমকাই ধরা পড়ে গেলেন তিনি। তাই তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হল। রোহিঙ্গা তরুণীর কুকীর্তির কথা ফাঁস করলেন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ডঃ আবুল কাশেম।তিনি জানান, খুশির পরিচয় প্রকাশ হওয়ার পর তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার নথিপত্র যাচাই করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে ওই কমিটি রিপোর্ট দেবে বলেও জানান উপাচার্য।

[আরও পড়ুন: সুন্দরবন বাঁচাতে নতুন পদক্ষেপ বাংলাদেশের, ম্যানগ্রোভ অরণ্যে পুকুর খননের সিদ্ধান্ত]

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে রোহিঙ্গা তরুণী রাহি খুশিকে নিয়ে একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। তাতে দেখা যায়, খুশি উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী হিসেবে স্বদেশি রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। এরপরই বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে নানা খবর রটতে শুরু করে। স্যোশাল মিডিয়াতেও আলোচনা শুরু হয়। কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য বলেন, “খুশি যে বাংলাদেশি নয়। সেটি সরকার প্রমাণ করে সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।” খুশি কক্সবাজার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া অ্যাকাডেমি থেকে এসএসসি ও কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। বর্তমানে তিনি কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আইন নিয়ে পড়াশোনা করছেন। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গাজীপুরের রেস্তরাঁয় প্রবল বিস্ফোরণ, জখম অন্তত ১৮]

উসকানির অভিযোগে কক্সবাজারে দু’টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সব ধরনের কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অ্যাডভেনটিস্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিলিফ এজেন্সি আদ্রা ও আল মারকাজুল ইসলামী নামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দু’টির ব্যাংক লেনদেনও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মহম্মদ আশরাফুল আফসার একথা জানান। তিনি আরও জানান, আদ্রা ও আল-মারকাজুল ইসলামির সব কাজ আপাতত কক্সবাজার এলাকায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অভিযোগ, একটি নন-গভর্নমেন্ট অর্গানাইজেশন রোহিঙ্গাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে। যারা রোহিঙ্গাদের এমন অনৈতিক কাজে সহযোগিতা করছে, সেই সব প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছে সরকারের নীতি নির্ধারক মহল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement