সুকুমার সরকার, ঢাকা: রোহিঙ্গাদের ভরণপোষণে বাংলাদেশকে আর্থিক মদত দেবে বিশ্ব ব্যাংক। শরণার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নির্মাণের আশ্বাসপ দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। এই কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মোহিত।
[‘দক্ষিণ ভারতের চেয়ে পাকিস্তান বেশি মধুর’, ফের বিতর্কিত মন্তব্য সিধুর]
গত শনিবার, ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফের সম্মেলন চলাকালীন বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট, জিম ইয়ং কিমের সঙ্গে বৈঠক করেন মোহিত। সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্ট কিম আশ্বাস দিয়েছেন, অসহায় শরণার্থীদের সহায়তার জন্য যে খরচ হবে, তা বহন করবে বিশ্ব ব্যাংক। রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে বাড়তি ব্যয় বহন করতে হবে না বাংলাদেশ সরকারকে। বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মোহিত জানিয়েছেন, অর্থের জোগানের জন্য সুইডেন, জার্মানি, কুয়েত ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের আলোচনা হয়েছে। ইতিমধ্যে আর্থিক মদত দিয়েছে কানাডা।
এদিন অর্থমন্ত্রী জানান, আগামী দুই বছরে রোহিঙ্গাদের জন্য দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে কোনও ঋণ নয়, অনুদানের ব্যবস্থা করবে বিশ্ব ব্যাংক। এক বিলিয়ন ডলার করে দুই বছরে দুই বিলিয়ন ডলারের এই অর্থের বেশির ভাগ দেবে বিশ্ব ব্যাংক। বাকি অর্থ অন্যান্য দেশ এবং সংস্থার কাছ থেকে জোগাড় করা হবে। তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য ইতিমধ্যে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ৫০ কোটি ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরও ২০ কোটি ডলারের চুক্তি হবে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবির সঙ্গে প্রথম পর্যায়ে ১০ কোটি ডলারের চুক্তি হয়েছে। আরও ১০ কোটি ডলারের চুক্তি হবে শিগগিরই। অন্যান্য দাতা দেশ ও সংস্থার সঙ্গেও এ বিষয়ে দ্রুত চুক্তি হবে।
কূটনৈতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, রোহিঙ্গাদের শরণ দিলেও ক্রমে তা উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশে৷ শরণার্থীদের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও৷ এছাড়াও কয়েক কয়েক লক্ষ উদ্বাস্তুর পুনর্বাসন ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে৷ অপরদিকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে কোনও আগ্রহ নেই মায়ানমারের৷ প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষর করলেও তা বাস্তবায়নে আইনি জটিলতা তৈরি করছে সু কি সরকার৷ এছাড়াও বাংলাদেশের নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে ফের বার্মিজ সেনার খপ্পরে পড়তে রাজি নয় শরণার্থীদের একটি বড় অংশ৷
[পুজোয় জনসংযোগ, তৃণমূল-বামেদের টেক্কা দিতে বুক স্টলে গুরুত্ব বিজেপিরও]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.