Advertisement
Advertisement
Bangladesh

ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের আপত্তি, বাংলাদেশের ফুলবাড়িতে থমকে সড়ক তৈরির কাজ

সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-কে চিঠি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

Road construction at India-Bangladesh border halted following BSF's objection | Sangbad Pratidin

ছবি: ফাইল

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:June 25, 2021 11:56 am
  • Updated:June 25, 2021 1:56 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের আপত্তিতে বাংলাদেশের  ফুলবাড়িতে থমকে গিয়েছে সড়ক তৈরির কাজ। সমস্যা সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে বাংলাদেশের (Bangladesh) সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-কে চিঠি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

[আরও পড়ুন: অনন্য সাফল্য! প্রথমবার সুইজারল্যান্ডের সাংসদ নির্বাচিত বাংলাদেশি কন্যা সুলতানা খান]

জানা গিয়েছে, ফুলবাড়ি উপজেলার আছিয়ার বাজার থেকে নাগেশ্বরীর কলেজ মোড় পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। যৌথভাবে কাজটি করছে মোজাহার এন্টারপ্রাইজ এবং ওটিবিল নামের দু’টি বেসরকারি সংস্থা। সড়কটির কিছু অংশ ফুলবাড়ি সদর উপজেলায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার নম্বর-৯৩৭ /৮ এসের থেকে ৯৩৮ নম্বর পিলারের কাছে নো ম্যানস ল্যান্ডে পড়েছে। সড়কের কাজ চাঁদের হাট থেকে জুম্মার পাড় পর্যন্ত এলে সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে সড়কটি তৈরি হওয়ার অভিযোগে নির্মাণকাজে বাধা দেয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গত মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলায় অবস্থিত কুর্শারহাট ৩৮ বিএসএফ সীমান্ত ফাঁড়ির পক্ষ থেকে বিজিবিকে চিঠি দিয়ে কাজ বন্ধ করতে বলা হয়। এরপর থেকে সড়ক তৈরির কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে সমস্যার সমাধান বের করা হবে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

Advertisement

উল্লেখ্য, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বেশ কিছু জায়গায় সীমা নির্ধারণ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। নির্দিষ্ট সীমারেখা না থাকায় একাধিকবার মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে। তবে এর ফলে দুই বন্ধু রাষ্ট্রের সম্পর্কে ফাটল ধরেনি। গত মার্চ মাসেই বাংলাদেশ সফরে আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এই সফর হলেও এর কূটনৈতিক গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। কারণ, ব্যবসা থেকে করোনা লড়াইয়ে ভারতের উপর অনেকটাই নির্ভর করছে বাংলাদেশ। পালটা, ঢাকার উপর চিনা প্রভাব খর্ব করতে মরিয়া। এছাড়া, ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে হাসিনার সমর্থন প্রয়োজন নয়াদিল্লির। সব মিলিয়ে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সহাবস্থান অত্যন্ত জরুরি। এহেন সময়ে সীমান্তে ফের উত্তেজনা তৈরি হলে তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

[আরও পড়ুন: সেরামের কাছ থেকে এখনই টিকা পাবে না বাংলাদেশ, জানালেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement