সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে দিকে-দিকে আক্রান্ত সে দেশের সংখ্যালঘুরা। ভাঙচুর করা হয়েছে তাদের বাড়ি, মন্দির এবং ব্য়বসা প্রতিষ্ঠান। এমনই খবর বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ সূত্রে। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে নাটোর, ঢাকার ধামরাই, পটুয়াখালির কলাপাড়া, শরিয়তপুর ও ফরিদপুরে মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়েছে। যশোর, নোয়াখালি, মেহেরপুর, চাঁদপুর ও খুলনায় বাড়িঘরে হামলা চলেছে। এমনকী, দিনাজপুরে হিন্দুদের ৪০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। শুধু হিন্দু নয়, রংপুরের তারাগঞ্জে আহমদিয়াদের উপাসনালয়ে হামলা চলেছে।
সোমবার বিকেল থেকে যশোরে অন্তত ৫০টি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। ভাঙচুর, লুটপাট, ডাকাতির মতো ঘটনার পর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাড়িগুলিতে। আক্রান্ত ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বিকেলে কয়েক শ লোক বাঘারপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া বাজারের অন্তত ২৫টি দোকানে হামলা চালায়। এর মধ্যে ২০টি দোকানের মালিক হিন্দু। দোকানে ভাঙচুর করে মালপত্র লুট করে। জানা গিয়েছে, শালবরাট গ্রামের হিন্দুপাড়ায় হামলা চালায় ১০-১২ জনের একটি দল। সেখানে ৬৫টি হিন্দু পরিবারের বাস। মুখে কালো কাপড় বেঁধে হাতে রামদা নিয়ে পাঁচ-ছয়টি বাড়িতে যায়। তারা দুটি পরিবারের কাছে টাকা চায়। টাকা দিতে না পারায় এক বৃদ্ধকে মারধর করে। তিনটি গরু এবং দুটি ছাগল লুট করে।
নোয়াখালির হাতিয়া উপজেলায় হিন্দুদের তিনটি বাড়িতে ও চারটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চলে। ভাঙচুর হয়। সোনাদিয়ায় উপজেলা হিন্দু পরিষদের সভাপতি সহদেব সাহার বাড়িতেও হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর পাশাপাশি মেয়েদের মারধরের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। নির্যাতিত পরিবারের পক্ষ থেকে হাতিয়া থানায় ও কোস্টগার্ডকে ফোনে জানানো হলেও কেউ ঘটনাস্থলে যায়নি বলে অভিযোগ। নাটোরের লালপুরে পুজো উদ্যাপন পরিষদের সভাপতির বাড়ি-সহ ছটি বাড়ি ও একটি মন্দিরে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার ঈশানিয়া ইউনিয়নের চৌরঙ্গী বাজারে হিন্দুদের অন্তত ৪০টি দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।
সবমিলিয়ে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সে দেশে আক্রান্ত হচ্ছে সংখ্যালঘুরা। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, অসহায় পরিবারগুলি তারই অপেক্ষায়। দিন গুনছেন সুদিনের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.