ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: নজিরবিহীন ঘটনা। বাংলাদেশে (Bangladesh) দু’জনকে খুনের ঘটনায় মোট ২৯ জনকে ফাঁসির সাজার (Hang to death) আদেশ দিল ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। এই সাজা সে দেশের বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে কার্যত নজির। প্রথম হত্যাকাণ্ডে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড হয় এবং দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৯ জনকে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানোর নিদান দিয়েছেন বিচারক। তবে একসঙ্গে এতজনের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে, শুরু হয়েছে সমালোচনাও।
প্রথম ঘটনা ঢাকার (Dhaka)। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (BUET) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় বছর দুই আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। বিষয়টি বেশ শোরগোল পড়েছিল। সেই মামলা চলছিল ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে। বুধবার আবরার হত্যাকাণ্ডে ২০ জনকে ফাঁসির সাজা শোনান বিচারক। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও পুরনো একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে ফের ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে মহানগর দায়রা আদালত।
দ্বিতীয় মামলাটি ২০১৩ সালের, ঘটনাস্থল রাজশাহী (Rajashahi)। সেখানকার কলেজে শাসকদলের শীর্ষ নেতা শাহিন আলমেরও মৃত্যু হয়েছিল গণপ্রহারে। সেই মামলা দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। বারবার সেই মামলার রায়ঘোষণা পিছিয়ে যায়। এরপর বৃহস্পতিবার শাহিনের হত্যাকাণ্ড ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলে ঘোষণা করে আদালতের বিচারক ৯ জন দোষীর মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় যুক্ত আরও ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে।
তবে এই রায়ের পর দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। কোনও অপরাধীর ফাঁসি হওয়া আদৌ অপরাধ প্রবণতা কতটা কমাতে পারে, তা নিয়ে যুক্তি-প্রতিযুক্তি, তর্কবিতর্ক চলছে। কারও মতে, অপরাধীর সংশোধনের জন্য মৃত্যুদণ্ড নয়, অন্য কোনও কঠোর সাজা দেওয়া উচিত, নাহলে তাকে সংশোধনের সুযোগই দেওয়া হয় না। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এতজনের ফাঁসিই একমাত্র দৃষ্টান্তমূলক সাজা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.