Advertisement
Advertisement
Bangladesh

নজিরবিহীন! বাংলাদেশে দুই ছাত্রের হত্যাকাণ্ডে ২৯ জনকে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত

ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের এই আদেশ ঘিরে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে।

Rare of the ratest! Fast track court of Bangladesh orders 29 people hanged to death | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 10, 2021 1:05 pm
  • Updated:December 10, 2021 1:32 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: নজিরবিহীন ঘটনা। বাংলাদেশে (Bangladesh) দু’জনকে খুনের ঘটনায় মোট ২৯ জনকে ফাঁসির সাজার (Hang to death) আদেশ দিল ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। এই সাজা সে দেশের বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে কার্যত নজির। প্রথম হত্যাকাণ্ডে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড হয় এবং দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৯ জনকে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানোর নিদান দিয়েছেন বিচারক। তবে একসঙ্গে এতজনের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে, শুরু হয়েছে সমালোচনাও।

প্রথম ঘটনা ঢাকার (Dhaka)। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (BUET) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় বছর দুই আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। বিষয়টি বেশ শোরগোল পড়েছিল। সেই মামলা চলছিল ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে। বুধবার আবরার হত্যাকাণ্ডে ২০ জনকে ফাঁসির সাজা শোনান বিচারক। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও পুরনো একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে ফের ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে মহানগর দায়রা আদালত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘ফোর্বস’-এর ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা]

দ্বিতীয় মামলাটি ২০১৩ সালের, ঘটনাস্থল রাজশাহী (Rajashahi)। সেখানকার কলেজে শাসকদলের শীর্ষ নেতা শাহিন আলমেরও মৃত্যু হয়েছিল গণপ্রহারে। সেই মামলা দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। বারবার সেই মামলার রায়ঘোষণা পিছিয়ে যায়। এরপর বৃহস্পতিবার শাহিনের হত্যাকাণ্ড ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলে ঘোষণা করে আদালতের বিচারক ৯ জন দোষীর মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় যুক্ত আরও ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে।

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বহুমুখী সম্পর্ক বাড়ানোর বার্তা ভারতের বিদেশ সচিব শ্রিংলার]

তবে এই রায়ের পর দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। কোনও অপরাধীর ফাঁসি হওয়া আদৌ অপরাধ প্রবণতা কতটা কমাতে পারে, তা নিয়ে যুক্তি-প্রতিযুক্তি, তর্কবিতর্ক চলছে। কারও মতে, অপরাধীর সংশোধনের জন্য মৃত্যুদণ্ড নয়, অন্য কোনও কঠোর সাজা দেওয়া উচিত, নাহলে তাকে সংশোধনের সুযোগই দেওয়া হয় না। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এতজনের ফাঁসিই একমাত্র দৃষ্টান্তমূলক সাজা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement