কৃষ্ণকুমার দাস: বাংলাদেশে বাড়ছে ভারত বিরোধিতা! সক্রিয় হচ্ছে মৌলবাদী শক্তিগুলো! বিএনপি-জামাতের মতো পাকপন্থী দলগুলো হরতাল ডেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, শেখ হাসিনার রাশ আলগা হলেই ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে রাজাকাররা। কলঙ্কিত হবে অসাম্প্রদায়িক মুজিবের দেশ। এই প্রেক্ষাপটে এক অন্য ছবি তুলে ধরলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসের আদর্শে অনুপ্রাণিত আবু হোসেন বাবলা। অক্ষয় মহারাজের আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে সাধারণ নির্বাচনে ফের ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তিনি।
সন্ত্রাসের আবহে রবিবার বাংলাদেশে চলছে দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ (Bangladesh election)। আঁচ পড়েছে গোটা দেশে। ব্যতিক্রমী নয় ঢাকা-৪ কেন্দ্রেও। সেখানেই সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দিতে মাঠে নেমেছেন জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান আবু হোসেন বাবলা। বহুকাল ধরেই রাজনীতির মাঠ চষে বেরিয়েছেন তিনি। চারবারের সাংসদ বাবলা। তবে এলাকাবাসীর কাছে তাঁর আরও এক পরিচয় ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র হিসাবে। ছিলেন অক্ষয় নন্দ মহারাজের স্নেহধন্য। রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের যত মত তত পথেই বিশ্বাসী তিনি। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া সংখ্যালঘু বিদ্বেষের মাঝে তাঁর উপর প্রবল আস্থা এলাকার হিন্দু ভোটারদের। নিজের এলাকায় ১৩টি মন্দির সংস্কার করিয়েছেন তিনি। রামকৃষ্ণ মিশনের আশপাশে রাস্তাঘাট সারিয়ে তুলেছেন তিনি। ফলে, বিএনপি-জামাতের চোখ রাঙানি সত্ত্বেও দলে দলে ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন তাঁরা।
বলে রাখা ভালো, শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগের সঙ্গে জোট গড়ে লড়ছে এরশাদের জাতীয় পার্টি। আসন রফাও হয়েছে তাদের মধ্যে। তবে সংঘাতের চোরাস্রোত যে কোথাও রয়েছে তা স্পষ্ট। নির্দল প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির সমর্থকদের মধ্যে সংঘাতে উত্তপ্ত হয়েছে ওই নির্বাচনী কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার বার্তা দিয়ে সংবাদ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ”আমি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। ইসলামিক মূল্যবোধেও। সকল দলের সমর্থন চেয়েছি। তারা বলেছে, গো অ্যাহেড। তুমি এগিয়ে যাও।” এবারের নির্বাচন বয়কট করেছে বিএনপি (BNP)। সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ”বিএনপি একটা বড় দল। এটা অনস্বীকার্য। আমি নিজেই তো সকল দলের সমর্থন চেয়েছি। লাঙল নিয়ে ঘুরছি।”
ভোট বয়কট করলেও বিএনপি সমর্থকরা কি ভোট দিচ্ছেন না? এই প্রশ্নের উত্তরে তাঁর মন্তব্য, ”বয়কট ওরা করেছে ঠিকই। কিন্তু কোনও কোনও এলাকায় যদি ভালো প্রার্থী থাকে, তাহলে তাদের দলের সমর্থকরা সেখানে ভোট দিতে পারে। এটা হতেই পারে। অস্বীকার করার জায়গা নেই।” পাশাপাশি অক্ষয় নন্দ প্রসঙ্গে আপ্লুত কণ্ঠে আবু হোসেন জানাচ্ছেন, ”উনি আমাকে প্রবল স্নেহ করতেন। ওঁর লেখা চিরকুট নিয়ে ভারতেও গিয়েছি। খুবই শ্রদ্ধা করতাম ওঁকে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.