সুকুমার সরকার, ঢাকা: স্বাধীনতার পর ঠিক কেমন আছে বাংলাদেশের (Bangladesh)আমজনতা? দিন আনি দিন খাই যাদের নিত্য জীবন, মূলত সেসব মানুষের কথা তুলে ধরতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস। স্বাধীনতা দিবস অর্থাৎ ২৬ মার্চ তিনি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। আর সেই প্রতিবেদনকেই ‘মিথ্যা, সাজানো’ বলে দাবি করছে বাংলাদেশ সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল সুরক্ষা আইনে (Digital Security Act) অভিযোগ দায়েরের পরই সাভারে, সাংবাদিকে বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার ভোরে এই ঘটনার পর দেশজুড়ে প্রতিবাদে উত্তাল সাংবাদিক মহল। শামসুজ্জামানকে মুক্তির দাবিতে পোস্টার, ব্যানার হাতে পথে নেমেছেন তাঁরা।
ঘটনা ঠিক কী? গত ২৬ তারিখ দেশের স্বাধীনতা দিবসে প্রথম সারির দৈনিক সংবাদপত্রে শামসুজ্জামানের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ওই সংবাদপত্রেরই সাংবাদিক। প্রতিবেদনটি সাক্ষাৎকার ভিত্তিক, যেখানে এক দিনমজুর নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলছেন, তিনি খাদ্যে ‘স্বাধীনতা’ চান। স্বভাবতই এতে এসেছে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কথা। আর তাতেই আপত্তি হাসিনা সরকারের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, প্রতিবেদনটি ‘মিথ্যা’, ‘সাজানো’, ‘কুমতলব’। আর সেই কারণে ডিজিটাল সুরক্ষা আইনে মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন শামসুজ্জামান। তিনি এই আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে ১৪ বছর পর্যন্ত কারাবাস হতে পারে।
খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশজুড়ে বিক্ষোভে নেমেছিলেন সাংবাদিকরা। হাতের পোস্টারে লেখা – অবিলম্বে শামসুদ্দিনকে মুক্তি দিতে হবে/ সাংবাদিকতা করা অপরাধ নয়। এই প্রথম নয়, এর আগেও বাংলাদেশে সাংবাদিকদের উপর ‘সরকারি নিয়ন্ত্রণ’ নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। ডিজিটাল সুরক্ষা আইনে (DSA) আগেও অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও শামসুদ্দিনের ঘটনায় তাঁর পাশে রয়েছে কর্মক্ষেত্র। তাদের তরফে প্রমাণ পেশ করে জানানো হয়েছে, শামসুদ্দিনের প্রতিবেদন সাক্ষাৎকার ভিত্তিক। যাঁর বক্তব্য নেওয়া হয়েছে, তাঁর নাম-সহ বক্তব্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তা সরকারে অপছন্দ হলেও সাংবাদিকের দায় নেই। এখন শামসুদ্দিনের কী
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.