Advertisement
Advertisement
Mask

বেশি দামে মাস্ক বিক্রির ফল, বিশাল অঙ্কের জরিমানা ১১টি ওষুধের দোকানকে

কালোবাজারি করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে, হুঁশিয়ারি প্রশাসনের।

Price Hike of Mask, Sanitiser: 11 shop owner in Dhaka fined 12 lakhs

ফাইল ফটো

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:March 12, 2020 6:13 pm
  • Updated:March 12, 2020 6:13 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা ভাইরাস নিযে আতঙ্কের সুযোগে মাস্ক ও স্যানিটাইজার মজুত রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছিল। কোথায় কোথায় অত্যন্ত বেশি দামে সেগুলি বিক্রি করা হচ্ছিল। অভিযোগ পাওয়ার পরেই ঢাকার কলেজ গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিল ব়্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (RAB)। RAB ও স্বাস্থ্য দপ্তরের যৌথ অভিযানের ফলে ধৃত ১১টি ওষুধের দোকানকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এই দোকানগুলির মধ্যে নরসিংদী ফার্মা ও মেডিকাসকে দু’লাখ, রয়েল ফার্মা ও রোগ মুক্তি ফার্মাকে একলাখ করে, অজুয়া ফার্মেসিকে ৫০ হাজার, নাজ ফার্মাকে ৫০ হাজার টাকা, গ্রিন লাইফকে একলাখ টাকা, এসএইচ ফার্মাকে ৫০ হাজার, নিরাময় ফার্মাকে ৫০ হাজার, ওষুধ বিতানকে এক লাখ ও মহম্মদপুর তাজমহল রোডের লাজফার্মা লিমিটেডকে দু’লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনার জের, শুক্রবার থেকে বন্ধ বাংলাদেশিদের ভারতে প্রবেশ ]

 

এপ্রসঙ্গে RAB-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান জানান, একটি অসাধু চক্র মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের অতিরিক্ত দাম নিচ্ছিল। গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছিল। তাতে এগারোটি ফার্মেসিকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ক্রেতার কাছে ন্যায্য মূল্যে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রয়ের জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফের অভিযোগ পেলে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে তিনি।

[আরও পড়ুন: সংকটে জামদানি শিল্প, বাজার চাঙ্গা করতে কর্মশালার মাধ্যমে উদ্যোগ একাধিক সংস্থার]

 

ওই ১২টি দোকান ছাড়াও অতিরিক্ত দামে মাস্ক বিক্রির অপরাধে নোয়াখালির মাইজদি ও চৌমুহনীর পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে ৯২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় বেশি দামে মাস্ক বিক্রির অভিযোগে মাহে আলম ও আলমগীর নামে দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও নির্বাহী হাকিম মহম্মদ বশির গাজি সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাইকারি বিক্রেতা মাহে আলম ২৭ টাকা দামে প্রতিটি মাস্ক কিনেছিলেন। তা ৮০ টাকা করে বিক্রি করেন আলমগীরের কাছে। আর আলমগীর সাধারণ ক্রেতাদের কাছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা করে নিচ্ছিলেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement