ফাইল ফটো
সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাঁচার আশা এখনও ছাড়েনি শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি আবদুল মাজেদ। শেষ চেষ্টা হিসেবে বুধবার রাতে বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছে সে। বিকেলে মৃত্যু পরোয়ানা কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছনোর পরে রাতেই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানায় মাজেদ। কিন্তু, তাঁর কাছে সেই আবেদন পৌঁছানোর পরে পত্রপাঠ তা খারিজ করেন দেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদ (Abdul Hamid)।
এপ্রসঙ্গে বিকেলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার বলেন, ‘ওনার মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার থেকে উনি কারাগারে আছেন এবং তাঁকে কয়েদির পোশাক পরানো হয়েছে।’ বুধবার দুপুরে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ এন হেলালউদ্দিন চৌধুরি আবদুল মাজেদের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন। এজন্য মাজেদকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। পরে সরকারি আইনজীবী আদালতে মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারির আবেদন জানান। এরপরই বিচারক মাজেদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ও মামলার রায় পড়ে শোনান এবং তাকে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম কৌশলী মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, আবদুল মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি হয়েছে। ঢাকা জেলা প্রশাসক আগামী ২৮ দিনের মধ্যে আবদুল মাজেদের দণ্ড কার্যকর করতে ব্যবস্থা নেবেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ২৩ বছর কলকাতায় লুকিয়ে ছিল। গত সোমবার রাতে তাকে ঢাকার মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা ঘটনায় পলাতক বাকি পাঁচ খুনিরা হল আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এম রাশেদ চৌধুরি, এসএইচএমবি নুর চৌধুরি ও রিসালদার মোসলেমউদ্দিন। এদের মধ্যে মোসলেমউদ্দিন ভারতের জেলে বন্দি রয়েছে বলে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.