Advertisement
Advertisement
Bangladesh

বাতাসে বিষ! বাংলাদেশে প্রতিবছর দূষণ কেড়ে নেয় ৮০ হাজার মানুষের প্রাণ

জিডিপির ক্ষতি হচ্ছে ৩.৯ থেকে ৪.৪ শতাংশ।

Pollution killing thousand in Bangladesh, says World Bank | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:December 6, 2022 9:15 am
  • Updated:December 6, 2022 9:15 am  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বায়ুদূষণের জন্য প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রাণ হারাচ্ছেন প্রায় ৮০ হাজার মানুষ। একই সঙ্গে জিডিপির ক্ষতি হচ্ছে ৩.৯ থেকে ৪.৪ শতাংশ। পাশাপাশি বায়ুদূষণে উল্লেযোগ্য ভাবে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালীর সংক্রমণ এবং বিষণ্নতার ঝুঁকি। এছাড়া অন্যান্য স্বাস্থ্যগত অবস্থার ঝুঁকি বাড়ায় পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশু, বয়স্ক এবং সহজাত রোগে আক্রান্তরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন। এদের মধ্যে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা শ্বাসযন্ত্রের রোগে আক্রান্তরা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

একাধিকবার বিশ্বের দূষণ সূচকে শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। মাঝেমধ্যে দূষণে কিছুটা রাশ টানা গেলেও খুব একটা লাভ হয়নি। ফের বিষাক্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের জল-হাওয়া। এবার দূষণ রোধে বাংলাদেশকে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। ২৫০ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। পিপিপি মডেলে দূষণ প্রতিরোধে বাংলাদেশে কাজ হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। ‘বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেনেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন’- এই নামে একটি প্রকল্প চলছে বাংলাদেশে। সেখানকার প্রযুক্তি ও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের নির্দিষ্ট তহবিল রয়েছে। তার মূল লক্ষ্য, দূষণের মাত্রা কমিয়ে সবুজায়নের পথে এগিয়ে যাওয়া।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শক্তিবৃদ্ধিতে বদ্ধপরিকর শেখ হাসিনা, সংগ্রহ করছেন অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র]

৩০ বছরের এই প্রকল্পে বাংলাদেশকে আরও পাঁচ বছর অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ৩৫ বছর পর্যন্ত বিশ্ব ব্যাংকের তরফে এই আর্থিক সহায়তা মিলবে। শুক্রবারই ইমেল মারফত অনুদান দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। বিশ্ব ব্যাংকের সমীক্ষা বলছে, এই প্রকল্প যথাযথভাবে করতে পারলে রাজধানী শহর ঢাকা ও সংলগ্ন এলাকার প্রায় ২১ মিলিয়ন মানুষ দূষণের কোপ থেকে মুক্তি পাবেন। বাংলাদেশ ও ভুটানের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশ্ব ব্যাংকের আধিকারিক দানদান চেনের বক্তব্য, “বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এত দ্রুত বিবর্তন এবং নগরায়ন আদতে পরিবেশের বড় ক্ষতি করেছে। এটা শুধু জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে, তাইই নয়। অর্থনৈতিক বিকাশেও বাধা হয়ে দাঁড়াবে। বিশ্ব ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের পাশে থেকে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে চলেছে।”

ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের দেওয়া এই ২৫০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে কী কী কাজ হবে, তার রূপরেখাও প্রায় ঠিক হয়ে গিয়েছে। চেন জানিয়েছেন, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ইলেকট্রনিক বর্জ্য সাফ, গাড়ি থেকে দূষণ পরীক্ষার জন্য আলাদা বেশ কয়েকটি কেন্দ্র তৈরি হবে। ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশের দূষণ চিত্রে নজর রেখেছে বিশ্ব ব্যাংক। ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্যে এগোচ্ছে গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়। বিশ্ব ব্যাংক সেই কাজে হাত বাড়িয়ে দিল। 

[আরও পড়ুন: নদীতে জাল ফেললেই মিলছে কঙ্কাল-খুলি, এগারো মাসে বাংলাদেশে উদ্ধার ৩২৫টি লাশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement