Advertisement
Advertisement
Bangladesh

নিরাপত্তায় মোতায়েন সেনা, আতঙ্ক কাটিয়ে বাংলাদেশের বেশিভাগ থানায় কাজ শুরু পুলিশের

৫ আগস্ট হাসিনার দেশত্যাগের পর সারা দেশে পুলিশি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

Police started working in most police stations of Bangladesh
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:August 10, 2024 6:36 pm
  • Updated:August 10, 2024 6:36 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিক্ষোভ-আন্দোলন জারি থাকলেও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। রাজধানী ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন থানায় সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, ৬৩৯ থানার মধ্যে শুক্রবার পর্যন্ত ৩৬১টি থানায় কাজ শুরু হয়েছে। থানাগুলোর নিরাপত্তায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকার ২৯টি থানা-সহ দেশজুড়ে ৪১৭টি থানায় ইতিমধ্যে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তবে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত থানাগুলোতে কাজ শুরু হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।

ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। প্রাণহানিও ঘটেছে। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর শেষ তিন দিনে থানা, ফাঁড়ি-সহ পুলিশের বেশ কিছু স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ৫ আগস্ট হাসিনার দেশত্যাগের পর সারা দেশে পুলিশি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ সদস্যরা থানায় আসতে সাহস পাননি। থানা পাহারা দেওয়ার জন্য সেনা মোতায়েন করা হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রবল চাপের মুখে পদত্যাগ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ‘হাসিনাঘনিষ্ঠ’ প্রধান বিচারপতির!

এনিয়ে পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মহম্মদ ময়নুল ইসলাম গত বুধবার সব পুলিশ সদস্যকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার থেকে পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থলে যোগদানও করেন। জানা গিয়েছে, ঢাকার রমনা, কলাবাগান, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, কোতোয়ালি, চকবাজার, সূত্রাপুর, ডেমরা, গেন্ডারিয়া, মতিঝিল, সবুজবাগ, শাহজাহানপুর, শেরেবাংলা নগর, হাতিরঝিল, শাহ আলী, কাফরুল, ভাষানটেক, দারুসসালাম, রূপনগর, ক্যান্টনমেন্ট, বনানী, উত্তরা পশ্চিম, উত্তরখান ও বিমানবন্দর থানায় কাজ শুরু হয়েছে। এই থানাগুলোতে নতুন করে আর হামলার ঘটনা ঘটেনি।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার, বন্দরনগর চট্টগ্রামে ও জামালপুরের জেল ভেঙে বন্দিরা পালানোর চেষ্টা করে। তাদের আটকানোর জন্য গুলিবর্ষণ করে কারারক্ষীরা। বেশ কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আসে। কিন্তু আজ, শুক্রবার জানা যায়, এই ঘটনায় অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কারারক্ষী-সহ ১৮ জন। জানা গিয়েছে, সেখানে মুক্তির জন্য বিদ্রোহ শুরু করে বন্দিরা। সেনাবাহিনী ও কারারক্ষীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। ঢাকার অদূরে কাশিমপুর, কুষ্টিয়া, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ, নরসিংদী, যশোর, সাতক্ষীরার জেলায় বিদ্রোহ করে বন্দিরা।

[আরও পড়ুন: বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বুলেটের মুখে, ছাত্র আন্দোলনে নিহত সেই আবু সাইদের বাড়িতে ইউনুস

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement