Advertisement
Advertisement
Pori Moni

পরীমণির সঙ্গে রাত কাটানোর সাজা! চাকরি গেল পুলিশ কর্তার

কী বলছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী?

Police Officer allegedly stayed at night with Pori Moni, lost his job
Published by: Paramita Paul
  • Posted:June 26, 2024 8:39 pm
  • Updated:June 26, 2024 8:41 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: অভিনেত্রী পরীমণির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরে চাকরি যাচ্ছে পুলিশ কর্তার। কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হচ্ছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত উপকমিশনারের গোলাম সাকলায়েনকে। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী নিজেই।

পরীমণির কথায়, “কারও ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে সাকলায়েনের সঙ্গে এটা করা হয়েছে। আমার সঙ্গে প্রেম-ভালোবাসার জন্য এটা হয়েছে, তা আমি বিশ্বাস করি না। সাধারণত যার ট্যালেন্ট থাকে,সফল হয়, তাঁর পিছনে অনেকেই লেগে থাকে। নিঃসন্দেহে সাকলায়েন একজন ট্যালেন্টেড ও সফল মানুষ। ওর পিছনেও অনেকে হয়তো লেগেছিল। তাঁর বরখাস্ত হওয়ার ব্যাপারটা খুবই অদ্ভূত। এটা খুবই অন্যায় হয়েছে। সাকলায়েনের প্রতি নিঃসন্দেহে অন্যায় হয়েছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: সঙ্গী গ্রেপ্তার হতেই বাংলাদেশে পালানোর ছক! STF-এর তৎপরতায় জালে মায়াপুরের ‘জঙ্গি’ হারেজ]

গত ১৩ জুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের শৃঙ্খলা-২ শাখা থেকে উপসচিব রোকেয়া পারভিন জুঁই স্বাক্ষরিত এক আদেশে সাকলায়েনকে কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হয়। বলা হয়- সাকলায়েন ধারাবাহিকভাবে নায়িকা পরীমণির বাড়িতে রাত্রি যাপন করতেন। মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্ট দেখে প্রমাণ পাওয়া যায়। দুই বাংলায় জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনি আবেগঘন স্ট্যাটাসে জানান, সাকলায়েনের জন্য তাঁর খারাপ লাগছে, তিনি ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার! পরীমণি আরও বলেন, “আমিও নিয়েছি, সাকলায়েনও নিয়েছে। সবাই না জেনে, না বুঝে আমাদের দোষ দিয়েছে। একটা সম্পর্ক নিয়ে এত দোষারোপ হবে, এটা তো বুঝতেই পারিনি।” উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ১ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফাঁস হয়। সেখানে আনন্দঘন ও অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটাতে দেখা সাকলায়েন ও পরীমণিকে। সেখান থেকেই দুজনের সম্পর্কের কথা সামনে আসে।

Advertisement

সাকলায়েনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন আরেক তারকা, মডেল ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল। সোশাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “এই সেই ব্যক্তি (গোলাম সাকলায়েন), যিনি আব্বার এফআর টাওয়ার মামলায় ডিবি থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। এই সেই ব্যক্তি, যিনি প্রতারণামূলক এবং জোরপূর্বকভাবে সিআরপিসির ১৬৪ ধারার অধীনে জবানবন্দি নিতে আব্বার সম্মতি নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। আমি সম্মতি না দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলাম আব্বাকে। কেননা, এ ঘটনায় মোটেও জড়িত ছিলেন না তিনি। কিন্তু আমি ডিবি অফিসে যাওয়ার আগেই তিনি আব্বার কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য নিয়ে আদালতে পরদিন জমা দিয়ে দেন।” আইনজীবী পিয়া জান্নাতুলের খোঁচা, “গোলাম সাকলায়েন ব্যক্তিটি খুবই তীক্ষ্ণ, প্রতিভাবান ও ধূর্ত। কিন্তু একটি ভুল তাঁর সবকিছু শেষ করে দিল।”

[আরও পড়ুন: জেলে বসেই PhD-এর আবেদন, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারভিউতে মাওবাদী নেতা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ