Advertisement
Advertisement

প্রজনন মরশুমে নিষিদ্ধ ইলিশ শিকার, মৎস্যজীবীদের দিকে রাবার বুলেট ছুঁড়ল পুলিশ

ইলিশ বিক্রির অপরাধে ৭ মাছ ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত।

Police fire rubber bullets to fisherman in Bangladesh to stop hilsa fishing
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:October 15, 2019 2:43 pm
  • Updated:October 15, 2019 4:44 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ বিক্রির অপরাধে কুমিল্লার হোমনায় ৭ মাছ ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যামাণ আদালত। গর্ভবতী ইলিশ রক্ষায় নদীতে মাছ ধরার উপর ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা সফল করতে অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ প্রশাসন। ৭ মাছ ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড দেওয়ার কারণে চাঁদপুর নৌ-পুলিশের ওপর হামলা চালান মৎস্যজীবীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দু’রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। মৎস্যজীবীদের হামলায় নৌ-পুলিশের দুই কনস্টেবলসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার সকালে সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর পাড়ে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ১৭ জন জেলেকে আটক করা হয়। চাঁদপুর নৌ-থানা পুলিশ জানায়, তারা জেলেদের আটক করার সময় জেলেরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২ রাউন্ড রবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পরে ১৭ জন জেলেকে আটক করা হয়। চাঁদপুর নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের বলেন, ঘটনায় দুই পুলিশকর্মী-সহ ৫ জন আহত হয়। পরে পুলিশ ১৭ জেলেকে আটক করে। ৪০ হাজার মিটার জাল ও ২০ কেজি ইলিশ বাজেয়াপ্ত করে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: আবরার হত্যা নিয়ে বিবৃতি রাষ্ট্রসংঘের, তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করল ঢাকা ]

আটক জেলেদের চাঁদপুর মডেল থানায় পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ১ জন শিশু থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়া দুই জেলে ও স্পিডবোট চালক চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।  সোমবার বিজয়নগর ও সদর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ জন ব্যবসায়ীকে আটক এবং ৯৩ কেজি ইলিশ মাছ বাজেয়াপ্ত করা হয়। এদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ইলিশের প্রধান প্রজনন মরশুম ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর। এই ২২ দিন বাংলাদেশে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ। এ সময়ে সারা দেশে ইলিশ ধরা, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাত, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, প্রধানত আশ্বিনের পূর্ণিমার চার দিন আগে এবং পূর্ণিমার পর ১৮ দিন পর্যন্ত সময়ে মা ইলিশ ডিম ছাড়ে। সারা বছর ডিম ছাড়লেও ৮০ শতাংশ ডিম এ সময় ছাড়ে। এ সময় ইলিশ ধরার উপর নির্ভরশীল মৎস্যজীবীদের খাদ্য সহযোগিতা দেওয়ার কথাও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। প্রজনন মৌসুমে ইলিশ রক্ষার পদক্ষেপ নেওয়ায় গত ১০ বছরে ইলিশের উৎপাদন ৭৮ শতাংশ বেড়ে এখন দেশের শতাধিক উপজেলার নদীতে তা পাওয়া যাচ্ছে বলে জানায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ৩০ অক্টোবর থেকে খোকা ইলিশ বাদে ফের ৯ ইঞ্চির ওপর ওপর ইলিশ ধরতে পারবেন মৎস্যজীবীরা।

[ আরও পড়ুন: হাসিনার নোবেল আটকাতেই আবরার হত্যা, আজব তত্ত্ব চট্টগ্রামের মেয়রের ]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement